reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১১ জানুয়ারি, ২০২২

কাজাখে নতুন সরকার, রাশিয়ান সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি

ছবি : ইন্টারনেট

সাম্প্রতিক এক সপ্তাহের অস্থিরতার পর রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন বাহিনী সিএসটিও-কে কাজাখস্তানে পাঠানো হয়েছিল। এই বাহিনী দেশটিতে সংঘটিত দাঙ্গা দমনের লক্ষ্যে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভের নব নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তোকায়েভ মঙ্গলবার বলেন, তার ডাকে সাবেক সোভিয়েতভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর সামরিক জোট ‘যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থা’ (সিএসটিও) থেকে যে সৈন্যরা কাজখাস্তানে এসেছিল, তারা দু'দিনের মধ্যে দেশটি ছাড়া শুরু করবে। ওই বাহিনীর সৈন্যদের তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে ১০ দিনের বেশি সময় লাগবে না।

কাজাখস্তান এবং রাশিয়া গত সপ্তাহের সঙ্কটকে বিদেশি "সন্ত্রাসবাদীদের" সহায়তায় একটি অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা হিসেবে দাবি করেছেন। তবে অভ্যুত্থানের খুব কম মানুষ সমর্থন করেছে বলে জানান তারা।

সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন নাগরিক ও পুলিশ নিহত হয়। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ থেকে তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়।

কাজাখস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, কাজাখ নিরাপত্তা বাহিনী অস্থিরতার জন্য প্রায় ১০ হাজার সরকারবিরোধীদের আটক করেছে।

এদিকে, তোকায়েভ প্রথমে জনগণের ক্ষোভ ও নানান ধরনের মতের উদ্রেগকে কমানোর প্রয়াস হিসেবে দেশটির সরকারকে বরখাস্ত করেন। তোকায়েভ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলিখান স্মাইলভকে মনোনীত করেন এবং সংসদের নিম্নকক্ষে দ্রুত ভোটের মাধ্যমে তাকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসান।৪৯ বছর বয়সি স্মাইলভ সদ্য ভেঙে দেওয়া মন্ত্রিসভার উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

আলজাজিরার খবরের বলা হয়, গত সপ্তাহের বিক্ষোভে মৃতের সংখ্যা অস্পষ্ট, কারণ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত সাবেক সোভিয়েতভুক্ত দেশটিতে নির্ভরযোগ্য তথ্য যাচাই করা কঠিন।

রবিবার, কাজাখের তথ্য মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে, যাতে বলা হয়েছে যে, সাম্প্রতিক অস্থিরতায় দেশটিতে ১৬৪ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।অথচ এর আগে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন যে, ২৬ জন ‘সশস্ত্র অপরাধী’ নিহত হয়েছে এবং ১৬ জন নিরাপত্তা কর্মকর্তা মারা গেছেন।

মঙ্গলবার লাইভ সম্প্রচারিত একটি ভিডিও কনফারেন্স কলে সরকার ও সংসদকে সম্বোধন করে তোকায়েভ বলেছেন, শান্তিরক্ষা বাহিনী সিএসটিও’র মূল মিশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শান্তিরক্ষী হিসেবে সিএসটিও-কে মস্কো প্রায়ই ন্যাটোর সমতুল্য বলে দাবি করে। তবে এর পূর্বে রাশিয়ার সাথে দীর্ঘ ঐতিহাসিক সম্পর্কযুক্ত এই অঞ্চলে হস্তক্ষেপ বিষয়ে তেমন আগ্রহ দেখায়নি মস্কো।

তবে কাজাখস্তানে সিএসটিও বাহিনী পাঠানোর পরই পশ্চিমাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ে যে, মস্কো কাজাখস্তানে তার প্রভাব বাড়ানোর লক্ষ্যে এই মিশনের সুবিধা নিতে পারে।

এক পর্যায়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত সপ্তাহে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে "একবার রুশরা আপনার বাড়িতে থাকলে, তাদের ছেড়ে দেওয়া খুব কঠিন"।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কাজাখস্তান,সিএসটিও,রাশিয়ান সেনা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close