শঙ্কু আকৃতির মাথা, নগ্ন শরীর, অদ্ভুতদর্শন এক ছায়ামূর্তি ধরা পড়েছিল আমেরিকার মন্টানার বাসিন্দা ডোনাল্ড ব্রুমলের ক্যামেরায়। ছবিটি দেখে চমকে উঠেছিলেন তিনি। তাহলে কি সত্যিই ভিনগ্রহের প্রাণী আসে পৃথিবীতে? এই বিষয়টি নিয়ে নানা মত তর্ক, বিতর্ক, বিশ্বাস-অবিশ্বাস রয়েছে। কিন্তু ব্রুমলে দাবি করেছেন, তার ক্যামেরায় ভিনগ্রহের প্রাণী ধরা পড়েছে।

মন্টানার ডিয়ার লজ শহরের ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন ব্রুমলে। এই এলাকাকে ‘ইউএফও ইটস্পট’ বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, এখানে মাঝেমধ্যেই ভিনগ্রহীদের যান দেখা যায়। এ ছাড়া ওই জায়গা নানা রকম ‘ভৌতিক’ কাণ্ডকারখানার জন্য বেশ কুখ্যাত।

ব্রুমলের দাবি, তার মূল উদ্দেশ্য ছিল আদৌ ভিনগ্রহের প্রাণী ওই এলাকায় যাতায়াত করে কি না তা দেখা। এই কাজের জন্য ডিয়ার লজের রেডগেটে ক্যামেরা বসান ব্রুমলে। দ্য সান অনলাইনকে তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে তিনি ভেবেছিলেন ওটা কোনো মানুষের প্রতিকৃতি। কিন্তু ছবিটি ভালো করে খতিয়ে দেখার পর চমকে উঠেছিলেন তিনি। তার দাবি, ছবির প্রাণীটির মাথা বড়, অনেকটা শঙ্কু আকৃতির। চেহারার তুলনায় অনেকটাই বড়। গায়ে পোশাক ছিল না। হুবহু ভিনগ্রহের প্রাণীর মতো দেখতে সেটি।

তবে বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞরা ব্রুমলের দাবি নস্যাৎ করেছেন। তবে চিত্রপরিচালক প্যাট্রিক কাটলার জানিয়েছেন, তিনি রেডগেটের ‘ভৌতিক কাণ্ড’ নিয়ে তথ্যচিত্র বানাচ্ছেন। তার দাবি, ক্যামেরায় যে অদ্ভুতদর্শন নগ্ন প্রতিমূর্তি ধরা পড়েছে এটা রহস্যের একটা সামান্য অংশ মাত্র। এই রেডগেটে আরও অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে, যা মানুষের বোঝার ক্ষমতার বাইরে। সূত্র : আনন্দবাজার