reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৯ অক্টোবর, ২০২১

প্রিন্স উইলিয়ামের আর্থশট পুরস্কার ঘোষণা

ছবিঃ সংগৃহীত

নোবেলের আদলে এবার ‘আর্থশট’ পুরস্কার প্রবর্তন করলেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়াম। পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষার নতুন গবেষণা এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য জলবায়ুর প্রভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। এ খবর দ্যা গার্ডিয়ান-এর।

সূত্র জানায়, নোবেল পুরস্কারের মতোই পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেয়া হবে এই পুরস্কার। ক্যাটাগরিগুলো হচ্ছে প্রকৃতি সুরক্ষাবিষয়ক প্রোটেক্ট অ্যান্ড রেস্টোর ন্যাচার, পরিষ্কার বায়ুবিষয়ক ক্লিন আওয়ার এয়ার, মহাসাগরবিষয়ক রিভাইভ আওয়ার ওসানস, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক বিল্ড আ ওয়েস্ট-ফ্রি ওয়ার্ল্ড ও জলবায়ুবিষয়ক ফ্রিক্স আওয়ার ক্লাইমেট।

রবিবার (১৭ অক্টোবর) প্রথমবারের মতো পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যেক বিজয়ীকে দেওয়া হবে ১০ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১১ কোটি ৭৬ লাখ টাকারও বেশি।

পুরস্কার ঘোষণার জন্য উত্তর লন্ডনের আলেক্সান্দ্রা প্রাসাদে রবিবার রাতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরিবেশকর্মীদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে অংশ নেন এমা ওয়াটসন, ডেম এমা থম্পসন এবং ডেভিড ওয়েলোয়োর মতো অভিনয় তারকারা।

জানা যায়, এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কেউই বিমানে চড়েননি। মঞ্চ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়নি কোনো প্লাস্টিক। অতিথিদের পোশাক নির্বাচনে পরিবেশকে বিবেচনায় নেওয়ার অনুরোধ করা হয়। জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্যে পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন প্রিন্স উইলিয়াম। এ সময় তার সঙ্গেই ছিলেন স্ত্রী কেট মিডলটন।

এক ভিডিও বার্তায় উইলিয়াম বলেন, ‘মানব ইতিহাসের এক তাৎপর্যপূর্ণ সময়ে আমরা বেঁচে আছি। এখন থেকে দশ বছর আমাদের প্রতিটি কর্মকাণ্ড আগামী হাজার বছর আমাদের এই পৃথিবীর ভাগ্য নির্ধারণ করবে।’

মূলত, ষাটের দশকে যুক্তরাষ্ট্রের চন্দ্রজয়ের প্রকল্প ‘মুনশট’ থেকে ‘আর্থশট’ পুরস্কারের ধারণাটি নিয়েছেন উইলিয়াম। ওই সময় পরবর্তী এক দশকের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর প্রকল্প ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি। মূলত গত বছর পুরস্কারটি উদ্বোধন করেন উইলিয়াম। এখন থেকে আগামী এক দশক অর্থাৎ ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর পাঁচ ক্যাটাগরিতে পাঁচজনকে এই পুরস্কার দেয়া হবে বলে জানান।

ঘোষণা অনুযায়ী, এবার প্রথমবারের মতো পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ১৫টি প্রজেক্টের একটি শর্টলিস্ট থেকে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নির্বাচন করেন বিচারকরা। বিচারকদের মধ্যে ছিলেন-প্রকৃতি বিশেষজ্ঞ ও উপস্থাপক স্যার ডেভিড অ্যাটেনবোরো, অভিনেত্রী কেট ব্লানচেট এবং গায়ক সারিকা।

প্রকৃতি রক্ষা বা প্রটেক্ট অ্যান্ড রিস্টোর ন্যাচার বিভাগে পুরস্কার জিতে নিয়েছে আফ্রিকার দেশ রিপাবলিক অব কোস্টারিকা। ‘বর্জ্যমুক্ত পৃথিবী গড়ি’ বা বিল্ড আ ওয়েস্ট-ফ্রি ওয়ার্ল্ড বিভাগে আর্থশট পুরস্কার জিতেছে ইতালির মিলান শহরের খাদ্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।

ক্লিন আওয়ার এয়ার বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে মোহন নামের এক ভারতীয় নাগরিক। তিনি তাকাচার নামে নামে বহনযোগ্য এমন একটি মেশিন তৈরি করেছেন, যা কৃষিবর্জ্যকে জ্বালানি ও জৈবসারে পরিণত করে।

রিভাইব আওয়ার ওসানস বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে বাহামার দুই বন্ধু স্যাম টেইচার ও গেটর হালপার্ন। সামুদ্রিক কোরাল বা প্রবাল উৎপাদনের একটি প্রজেক্ট গড়ে তুলেছেন তারা। বিশ্বের মৃতপ্রায় কোরাল রিফ পুনরুদ্ধারে এই প্রজেক্টটির নকশা করা হয়েছে।

ফিক্স আওয়ার ক্লাইমেট বিভাগে আর্থশট পুরস্কার জিতেছে এইএম ইলেকট্রোলাইসার নামের একটি যন্ত্র। মূলত নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে পানির অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন ভেঙে হাইড্রোজেন উৎপাদনের যন্ত্র এটি। হাইড্রোজেন একটি পরিবেশসম্মত গ্যাস।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আর্থশট,প্রিন্স উইলিয়াম
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close