reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৪ মে, ২০২১

ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে দফায় দফায় রকেট হামলা

ছবি : ইন্টারনেট

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র ইরাকের রাজধানী বাগদাদের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন বালাদ বিমান ঘাঁটিতে দফায় দফায় রকেট হামলা চালানো হয়েছে। টানা ছয় দফায় চালানো হামলার ঘটনায় মার্কিন কোম্পানির জন্য কাজ করা এক বিদেশি ঠিকাদার আহত হয়েছেন। দেশটির এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

মার্কিন কোম্পানি সেলিপোর্টের কাছাকাছি একটি এলাকায় গিয়ে পড়েছে তিনটি রকেট। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইরাকের জন্য এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে ঠিকাদারির কাজ করে ওই প্রতিষ্ঠানটি।

সূত্রটি জানিয়েছে, রকেট হামলায় সেলিপোর্টের এক বিদেশি কর্মচারী সামান্য আঘাত পেয়েছেন। প্রথম দফায় তিনটি রকেট দিয়ে হামলার ১৫ মিনিট পরেই আরও তিন দফা রকেট হামলা চালানো হয়।

বাকি রকেটগুলো ওই বিমান ঘাঁটির কাছে গিয়েই পড়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। পেন্টাগনের মুখপাত্র কমান্ডার জেসিকা ম্যাকনাল্টি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটো জোটের কোনো সদস্য বালাদে নিযুক্ত ছিল না। তবে তিনি এটা নিশ্চিত করেছেন যে, মার্কিন নাগরিকরা ঠিকাদার হিসেবে সেখানে কাজ করছেন।

প্রাথমিক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে ম্যাকনাল্টি বলেন, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার হামলার ঘটনা ঘটল। এর আগে রোববার বাগদাদ বিমান বন্দরের একটি ঘাঁটিতে দুই দফা রকেট হামলা চালানো হয়। সেখানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সেনারা মোতায়েন রয়েছে। তবে ওই হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এখনো পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন শপথ গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইরাকে মার্কিন অবস্থান লক্ষ্য করে প্রায় ৩০ দফা রকেট অথবা বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

এখন পর্যন্ত এসব হামলায় দুই বিদেশি ঠিকাদার, এক ইরাকি ঠিকাদার এবং ৮ ইরাকি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এসব হামলার জন্য ইরান সমর্থিত বিভিন্ন ইরাকি সংগঠনকে দায়ী করে আসছে ওয়াশিংটন। এর আগে গত এপ্রিলে বালাদের কাছে দুটি রকেট হামলা চালানো হয়।

পিডিএসও/ইউসুফ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ইরাক,বাগদাদ,উত্তরাঞ্চল,রকেট হামলা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close