গরীবের পেঁয়াজ অনলাইনে কেন?
হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। ফলে দেশের বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় এই ভোগ্য পণ্যটির। গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০ টাকা ছাড়িয়েছিল পেঁয়াজের দাম। কিন্তু বর্তমানে তা ৭০ থেকে ৬০ টাকায় ঠেকেছে।
যদিও সারাবিশ্ব এখন থমকে আছে করোনা মহামারিতে। যার প্রভাব অব্যাহত আছে বাংলাদেশেও। আর করোনার এই সময়ে দেশের অর্থনীতির চাকা বন্ধ প্রায়। চলতি বছরের মার্চের শুরু থেকে আজ অবদি চাকরি হারিয়েছে কতো মানুষ, বন্ধ হয়েছে কতো প্রতিষ্ঠান, তার হিসেব নেই।
এদিকে করোনার এই সময়ে সবচেয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছে নিম্ন আয়ের মানুষ। কাজ না থাকায় তাদের রোজগার একেবারেই বন্ধ প্রায়। যদিও আস্তে আস্তে খোলা হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, রাস্তায় চলছে যানবাহন। মানুষ ফিরতে শুরু করেছে নিজ কর্মে। স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। আর এই সময়ে হঠাৎ বাড়লো পেঁয়াজের দাম।
আমরা জানি, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রাস্তায় ট্রাকে করে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করে থাকে।
এদিকে ভারত বাংলাদেশে হঠাৎ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ার পর ৩৬ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় টিসিবি। কিন্তু সম্প্রতি টিসিবির সেই পেঁয়াজ অনলাইনেও বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, একজন গ্রাহক অনলাইনে ৩৬ টাকা দরে ৩ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবে। এই পেঁয়াজ কিনতে ডেলিভারি চার্জ ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রশ্ন হলো- নিম্ন আয়ের (গরীব) মানুষের জন্য টিসিবির পেঁয়াজ অনলাইনে দেয়া কতটুকু যৌক্তিক? এই শ্রেণির ক’জন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে টিসিবির পেঁয়াজ ক্রয় করতে পারবে? টিসিবির পেঁয়াজ অনলাইনে বিক্রির নামে দুর্নীতির ফন্দি না তো?
লেখক : সাংবাদিক