আজারবাইজানে প্রথমবারের মতো উদযাপিত হলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সোমবার আজারবাইজান টেকনোলোজিক্যাল ইউনিভার্সিটির (UTECA) বৈঠকখানায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আজারবাইজান টেকনোলোজিক্যাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দপ্তরের সাধারণ ব্যবস্থাপিকা ইলাহা কুরবানোভা।

ইলাহা কুরবানোভা বলেন, ‘বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এই আয়োজনে আমরা খুবই আনন্দিত। ২০২০ সালটা আমাদের জন্য একটা স্মরণীয় সাল। কারণ এই বছর আমরা আমাদের নাগোরনো-কারাবাখ প্রদেশটি ভিনদেশীদের দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করতে পেরেছি। আমরা আশা করি ধীরে ধীরে আজারবাইজান এবং বাংলাদেশের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে।’

এদিন আজারবাইজানে শিক্ষারত বাংলাদেশি ছাত্রদের নিয়ে ছাত্রলীগের একটি অস্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। লকডাউনের দরুন যেসব কর্মী সভায় উপস্থিত হতে পারেননি, তারা জুম অ্যাপের মাধ্যমে সভায় অংশ নেন। স্থানীয় সময় বেলা ১২টায় কেক কেটে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানায় উপস্থিত শিক্ষক ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।

অস্থায়ী কমিটির আহ্বায়ক শাশ্বত রায় বলেন, ‘সব বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সমর্থন এবং ভালবাসার জন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। করোনাভাইরাস মহামারি জনিত কারণে আজারবাইজান সরকার জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জ্ঞাপন করায় আমরা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও খুব বড় পরিসরে এই দিবসটি উদযাপন করতে পারলাম না। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের কল্যাণে নতুন বছরে পৃথিবী থেকে এই মহামারি চিরবিদায় নিলে, পরের বছর থেকে আমরা এখানকার সকল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা একাত্ম হয়ে ছাত্রলীগের সব কার্যক্রমের পাশাপাশি আড়ম্বরভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবো।’

অস্থায়ী কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. রাহুল হাসান বলেন, ‘অন্তরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণকারী অনেক শিক্ষার্থীই পড়াশোনা করছেন আজারবাইজানে। কিন্তু সাংগঠনিক কার্যক্রমের অভাবে এই পর্যন্ত তারা একতাবদ্ধ হতে পারেননি। আশা করি, আমাদের এই উদ্যোগের ভিত্তিতে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সমর্থনে আমরা আজারবাইজান ছাত্রলীগ শাখা কমিটি গঠন পূর্বক এখানে অফিশিয়ালভাবে কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।’

পরে অস্থায়ী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হেদায়েতুর রহমান লিমনের তত্ত্বাবধানে গ্যানজা এবং বাকু শহরের বিভিন্ন এলাকায় পথচারীদের হাতে উপহার হিসেবে এন-৯৫ মাস্ক তুলে দেয়া হয়।

পিডিএসও/এসএম শামীম