reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

লেবানন প্রবাসীদের চরম দুর্দশা, নেই খাওয়ার টাকা

লেবাননের বৈরুত বিস্ফোরণের পর দেশটির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অচলাবস্থা আরও প্রকট হয়েছে। বন্ধ হতে বসেছে শ্রমবাজার। মাসের পর মাস বেতন না পাওয়া, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অর্থের মান কমে যাওয়ায় দেশটিতে থাকার আশা একেবারেই ছেড়ে দিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসী বলেন, ‘গেল কয়েক বছর ধরেই নানামুখী সংকটে লেবাননের শ্রম বাজার। আগস্টের ভয়াবহ বিস্ফোরণ এ সংকটের কফিনে শেষ পেরেকটিও ঠুকেছে। দেশটিতে বাংলাদেশিদের বেশিরভাগেরই কাজ নেই। যাদেরও বা কাজ রয়েছে তারা এখন অনেক কম পারিশ্রমিক পাচ্ছেন’।

তিনি বলেন, ‘দেশে অর্থ পাঠানো তো দূরের কথা, নিজেই তিন বেলা খেয়ে-পরে থাকতে পারছি। এ অবস্থায় দেশে ফেরাকেই একমাত্র সমাধান দেখছি’। মাসের পর মাস বেতন না পাওয়া, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অর্থের মান কমে যাওয়ায় ধস নেমেছে অর্থনীতিতে। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর বিভাজন ও ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলোর আধিপত্যেও সংকট আরও ঘোলা হয়েছে।

দেশটিতে অর্থনৈতিক মন্দা, ডলার সংকট ও করোনা পরিস্থিতিসহ খাদ্যদ্রব্যের কয়েকগুণ মূল্য বৃদ্ধির কারণে দেড় লাখ বাংলাদেশির জীবন জীবিকা হুমকির মুখে। পরিস্থিতি বাধ্য করছে অনেক বৈধ প্রবাসীকেই বাংলাদেশে ফিরে যেতে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন বিমান চলাচল বন্ধ থাকার পর লেবানন থেকে ফিরেছে আটকেপড়া আরও ৪শ ১২ জন বাংলাদেশি। বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট বৃহস্পতিবার বৈরুতের রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে।

বিশেষ বিমানে ফিরতে পেরে আটকেপড়া বাংলাদেশিরা বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন যাবত নিবন্ধিত বাংলাদেশিদের দেশে ফেরার পথ বন্ধ ছিল।

লেবাননে দেড় লাখের বেশি বাংলাদেশি বাস। দূতাবাস বলছে, আগ্রহীদের দেশে পাঠাতে সাধ্য মতো কাজ চলছে। খাদ্যপণ্য ও জরুরি চিকিৎসা সামগ্রীর পর এবার বৈরুতের ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।

১৯৯১ সালে ২৫ জন নারী কর্মীর মাধ্যমে লেবাননে বাংলাদেশি কর্মী যাওয়া শুরু। বর্তমানে মোট বাংলাদেশি আছেন প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার। এছাড়া নারী শ্রমিক প্রায় এক লাখ।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
লেবানন,প্রবাসূ,দুর্দশা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close