reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৫ মার্চ, ২০২৩

দূষিত শহরের তালিকায় আজ পঞ্চম ঢাকা

ফাইল ছবি

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দূষিত দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১৩১টি দেশের বায়ুর গুণমান সূচক পরীক্ষার পর এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ু পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ার। মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

আইকিউ এয়ারের জানিয়েছে, ১১৮টি দেশ ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’-এর (হু) বেঁধে দেওয়া বায়ুদূষণের মাপকাঠি (প্রতি কিউবিক মিটার বাতাসে অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি পাঁচ মাইক্রোগ্রাম বা তার কম)-এর শর্তগুলো পূরণ করতে পারেনি! মাত্র ছয়টি দেশ হু-এর মাপকাঠি অনুযায়ী বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এস্তোনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জ়িল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, কানাডা এবং আইসল্যান্ড।

২০২২ সালে বিশ্বের ১৩১টি দেশের ৭ হাজার ৩২৩টি স্থানে ৩০ হাজারের বেশি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে আইকিউএয়ার।

২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি দূষিত দেশগুলো ছিল চাদ, ইরাক, পাকিস্তান, বাহরাইন ও বাংলাদেশ। এর মধ্যে চাদে দূষণের পরিমাণ ছিল ডব্লিউএইচও নির্ধারিত মাত্রার তুলনায় ১৭ গুণের বেশি (৮৯ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার), ইরাকে ১৬ গুণের বেশি (৮০ দশমিক ১ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার), পাকিস্তানে ১৪ গুণের বেশি (৭০ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার), বাহরাইনে ১৩ গুণের বেশি (৬৬ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার) এবং বাংলাদেশে প্রায় ১৩ গুণ (৬৫ দশমিক ৮ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার)।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুসারে বাতাসে ক্ষতিকর কণার সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রা পাঁচ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার। আইকিউএয়ারের প্রতিবেদন বলছে, গত বছর ১৩১টি দেশের মধ্যে ১১৮টি দেশেই বাতাসে ক্ষতিকর কণার উপস্থিতি সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি ছিল।

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ৫০শহরের মধ্যে ৩৯টির অবস্থান ভারতে। তবে এরপরেও দেশটি গত বছরের তুলনায় বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে সামান্য ভালো অবস্থানে আছে। আন্তর্জাতিক বায়ুদূষণ নিরীক্ষক সংস্থা আইকিউ এয়ারের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর পঞ্চম স্থানে থাকা ভারত এবার অষ্টম স্থানে নেমে এসেছে।

পরিবেশবিদদের একাংশের মতে, শহরে যানবাহনের সংখ্যা, যানজটের বহর, শিল্পক্ষেত্রে শিথিল দূষণবিধি, এমনকি, শহর লাগোয়া গ্রামাঞ্চলের কৃষিক্ষেত্রে খড়বিচালি পোড়ানোর প্রবণতার মতো বিষয়গুলো বায়ুদূষণের মাত্রাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। দূষণ প্রতিরোধে একটি সামগ্রিক, সুনির্দিষ্ট এবং সুসংহত নীতির প্রয়োজন। তাতে নতুন নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট বিধি-নিষেধের পাশাপাশি, প্রয়োজন একটি গণপরিবহণ নীতির। এছাড়া জোর দিতে হবে পরিবেশবান্ধব, পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ওপরেও।

পিডিএস/এমএইউ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
দূষিত বাতাস,একিউআই স্কোর,বায়ুদূষণ,ঢাকা,রাজধানী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close