গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল থাকায় উপকুলীয় এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট জলোচ্ছ্বাসের হুশিয়ারি দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ায় তাপমাত্রা কমার ইঙ্গিত রয়েছে আবহাওয়া বার্তায়।

সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উড়িষ্যা উপকূলীয় এলাকায় বিরাজমান নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল এবং দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই-তিন ফুটের বেশি বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, পশ্চিম উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গভীর নিম্নচাপটি উড়িষ্যা উপকূলে উঠে গেছে। তবে এটি আর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে না। আগামীকাল স্থল লঘুচাপে পরিণত হবে।

তিনি জানান, গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে।

আবহাওয়ার সর্বশেষ বার্তায় জানানো হয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়বে বৃষ্টির প্রবণতা। বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সঙ্গে ধমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় বৃষ্টির কারণে দিনের তাপমাত্রা এক-দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

পিডিএসও/হেলাল