চলে গেলেন বিখ্যাত অভিনেতা মাসুদ আলী খান
একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মাসুদ আলী খান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৪ টা ২০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সংবাদমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন তার দেখভালের দায়িত্বে থাকা রবিন মন্ডল।
তিনি বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) বিকাল চারটা ২০ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জানা যায়, অভিনেতার এক ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। তিনিসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এই বয়োজ্যেষ্ঠ শিল্পী। চিকিৎসার জন্য কয়েকবার নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চলছিল। বয়সের ভারে ঠিকমত হাঁটাচলাও করতে পারতেন না। । হুইল চেয়ারই ছিল তার ভরসা। এ কারণে বেশির ভাগ সময় ঘরের ভেতরেই কাটাতে হতো তাকে।
মাসুদ আলী খানের জন্ম ১৯২৯ সালের ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে। তার বাবা আরশাদ আলী খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মায়ের নাম সিতারা খাতুন।
১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পরপর নূরুল মোমেনের নাটক ‘ভাই ভাই সবাই’ দিয়ে ছোট পর্দায় মাসুদ আলী খানের অভিষেক হয়। আর সাদেক খানের ‘নদী ও নারী’ দিয়ে বড় পর্দায় তাঁর পথচলা শুরু।
ছোটপর্দা ও বড়পর্দায় সমানতালে সরব ছিলেন মাসুদ আলী খান। তার অভিনীত নাটকের মধ্যে ‘কূল নাই কিনার নাই’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘কোথাও কেউ নেই’ উল্লেখযোগ্য। উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হচ্ছে ‘দুই দুয়ারি’, ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘মাটির ময়না’।
পিডিএস/এমএইউ