ট্রল করা ঠিক নয় : মাহি
প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে শোচনীয় পরাজয়ের মুখ দেখেছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তাকে নিয়ে ঠাট্টা, অনেকেই ট্রল করছেন। এ বিষয়ে মাহি সবাইকে অনুরোধ করেছেন তার পরিস্থিতি বোঝার। তাকে নিয়ে ট্রল না করার অনুরোধও করেন মাহিয়া মাহি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে স্বতন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে লড়াই করেছিলেন তিনি।
নির্বাচনে এই আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর কাছে পাত্তাই পাননি মাহি। রবিবার দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাজশাহী-১ আসনের ১৫৮টি কেন্দ্রে এই নায়িকা পেয়েছেন ৯ হাজার ৯ ভোট। অন্যদিকে ওমর ফারুক চৌধুরী পেয়েছেন ১ লাখ তিন হাজার ৫৯২ ভোট।
নির্বাচনের আগে ভোটের মাঠে মাহিয়া মাহির সরব উপস্থিতির দেখা মিললেও, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি তিনি। এমনকি রবিবার রাত থেকেই তানোরে নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন এই অভিনেত্রী। ফলাফল ঘোষণার পরেও আর বের হননি।
ফলে সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এই নায়িকাকে নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। অনেকেই ঠাট্টা করে বিভিন্ন ছবি, ভিডিও বানিয়ে পোস্ট করছেন মাহিকে নিয়ে। বিষয়গুলো নজরে এসেছে এই তারকার।
একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে মাহি বলেন, ‘ট্রল তো নিয়মিতই আমার সঙ্গে। এগুলো নিয়ে নতুন করে আর কী বলব। শুধু একটা কথাই বলব, মানুষকে এভাবে ট্রল করা ঠিক নয়। একটা মেয়ে হয়ে আমি নির্বাচন করেছি।’
যারা বিভিন্নভাবে ট্রল করছেন তাদের উদ্দেশে এই নায়িকা বলেন, ‘এভাবে কাউকে ট্রল করবেন না, প্লিজ। আপনাদের কাছের কেউ নির্বাচন করলে বুঝতে পারবেন এটা কতটা কঠিন।’
প্রসঙ্গত, রাজশাহী-১ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এ ছাড়া তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী মো. গোলাম রাব্বানী ৯২ হাজার ৪১৯ ভোট পেয়েছেন।