পরীর ‘পা ধরে মাফ চাইলেন’ রাজ!
শরিফুল রাজকে ডিভোর্স নোটিশ পাঠানোর পরে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি বলেছেন, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির কারণে আজ তাদের সম্পর্কের এই পরিণতি।
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর স্বামী শরিফুল রাজকে ডিভোর্স নোটিশ পাঠিয়েছেন পরীমণি। বিষয়টি জানাজানি হয় বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর)। এদিন পরীমণির সঙ্গে যোগাযোগ করা না গেলেও রাত ৯টা ৪১ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক থেকে আগের একটি পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে পোস্ট দেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, নিশ্চয়ই এই স্ট্যাটাসের কথা মনে আছে অনেকেরই! সেবারও রাজ পাঁচ দিনের মাথায় বাসায় ফিরে আমার ফেসবুক থেকে এটা ডিলিট করে দিয়েছিল। তারপর এসব ঘটনার সে পুনরাবৃত্তি করেছে বার বার। সরি বলা, না খেয়ে থাকা, পা ধরে মাফ করে দাও আর হবে হবে না, এমনকি সুইসাইডের মতো হুমকিতেও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হতে হয়েছে আমাকে।
তিনি লেখেন, একই রকম ভুলের ক্ষমা কতো বার করা যায় আমি জানি না। আমি শুধু সব ভুলে সুন্দর স্বাভাবিক একটা পারিবারিক সম্পর্ক চেয়েছিলাম। কিন্তু সে কখনোই এই সম্পর্কটাকে ওউন করেনি। সবার সামনে আমার বৌ, আমার বাচ্চা করে বেড়ানো ভয়ংকর মানুষ একজন; যে কিনা এই সম্পর্কটাকে শুধু নিজের স্বার্থে ইউজই করে গেল প্রতিনিয়ত!
রাজকে ভয়ংকর মানুষ আখ্যা দিয়ে পরী বলেন, আমি এমন ভয়ংকর একজন মানুষকে বার বার সুযোগ দিয়েছি। সেও সুযোগ পেত কারণ আইনগতভাবে তার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। এসবে বারবার আমি অসম্মানিত হয়েছি আপনাদের কাছেও। আমাকে ক্ষমা করবেন।
রাজকে অফিসিয়ালি ডিভোর্স দিয়েছেন উল্লেখ করে এ নায়িকা বলেন, এটাও তাকে আমার এক প্রকার ক্ষমা করে দেয়া। না হয় আমার সাথে যে অন্যায়গুলো করেছে তাতে তার জেল হওয়ার কথা।
ছেলে পদ্মর কথা টেনে বলেন, আমার ছেলের যাবতীয় খরচ, মানে ভরণপোষণ থেকে আগামীতে পড়াশোনা যা কিছু আছে সব আমি বহন করবো, এতদিন যেভাবে করেছি। বাচ্চার ফুল গার্ডিয়ানশিপ এখন তার মা’র। এ বিষয়ে যা কিছু বলার আমার আইনজীবীরা বলবেন।
মূলত পরীমণি বিচ্ছেদপত্রে চারটি কারণ দেখিয়েছেন। ১. মনের অমিল হওয়া, ২. বনিবনা না হওয়া, ৩. খোঁজ না নেয়া এবং ৪. মানসিক অশান্তি।
এ বিষয়ে নায়ক শরিফুল রাজ বলেন, এখনও কিছুই পায়নি। হাতে পেলেই সাইন করে দেব।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট মান-অভিমান ভুলে একত্রিত হয়েছিলেন আলোচিত এ দম্পতি। ছেলে রাজ্যের জন্মদিন পালনকালে একসঙ্গে দেখা মিলেছিল তাদের। পরে ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পরীমণি-শরিফুল রাজের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেন তাপস। এর মধ্যে একটি ছবিতে রাজকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায় পরীমণিকে।
পরীমণি এবং শরিফুল রাজ ‘গুণিন’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়েই সম্পর্কে জড়ান। এরপর প্রেম পর্ব কাটিয়ে বসে যান বিয়ের পিঁড়িতে। ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পরীমণি ও শরীফুল রাজ। ২০২২ সালে এই দম্পতির সংসারজুড়ে আসে একটি পুত্রসন্তান।
পিডিএস/এমএইউ