কয়েকদিন আগে অভিনেত্রী পল্লবী দের ঝুলন্ত মহদেহ উদ্ধার করা হয়। সেই তালিকায় মডেল বিদিশা দে মজুমদারের পর নতুন নাম যুক্ত হলো আরেক অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগী। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মঞ্জুষার মায়ের দাবি অনুযায়ী, বিদিশার মৃত্যুর পরই হতাশায় ভুগতে শুরু করেছিলেন এই তরুণী। শেষ পর্যন্ত তিনিও আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

আনন্দবাজরের খবরে বলা হয, টলিপাড়ার আর এক অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হলো তার পাটুলির বাড়ি থেকে। পরিবার সূত্রে খবর, বিদিশার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন মঞ্জুষা।

মঞ্জুষা টালিউডে কাজ করছেন বহু দিন ধরেই। একটি টিভি চ্যানেলে ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন। পাশাপাশি থিয়েটারেও অভিনয় করতেন তিনি। বিদিশার মৃত্যুর ঠিক দু’দিনের মাথায় তার বন্ধু মঞ্জুষার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

কয়েক দিনের ব্যবধানে এ নিয়ে ভারতীয় বিনোদন জগতে তৃতীয় অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো। এর আগে গরফায় পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। বুধবার মডেল বিদিশারও ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় নাগেরবাজার থেকে। দু’টি ঘটনাতেই মৃ্ত্যুর নেপথ্য়ে ব্যক্তিগত সম্পর্কের তত্ত্ব প্রকাশ্যে এসেছে। মঞ্জুষার মৃত্যুর নেপথ্যেও তেমন কোনও ঘটনা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পরিবার সূত্রে খবর, দিন তিন-চারেক আগে পাটুলিতে বাপেরবাড়িতে এসেছিলেন মঞ্জুষা। বৃহস্পতিবারও ফটোশুট করেছেন তিনি। সে দিন তার স্বামী তাকে নিতে এসেছিলেন। কিন্তু মঞ্জুষার মা তার জামাইকে বলেন, কিছু দিন মেয়েকে বাপেরবাড়িতে রেখে যেতে। এরই মধ্যে বিদিশার মৃত্যুর খবর পান তার বন্ধু মঞ্জুষা। তার পর থেকেই অবসাদে ভুগতে থাকেন। মঞ্জুষার মায়ের দাবি, পল্লবী দের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তার মেয়ের।