reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৪ জুলাই, ২০২১

ফকির আলমগীরকে গার্ড অব অনার প্রদান

সদ্য প্রয়াত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরকে গার্ড অব অনার প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়েছে।

শনিবার বেলা ১১টার পর খিলগাঁও পল্লীমা সংসদ প্রাঙ্গণে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এই শব্দ–সৈনিকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

শুক্রবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফকির আলমগীর। এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে হার্ট অ্যাটাক হয় তার। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে চিকিৎসাধীন ছিলেন এ সংগীতশিল্পী।

বাদ জোহর খিলগাঁও মাটির মসজিদে মরহুমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেলা ১২ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে ফকির আলমগীরের দাফন সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।

ষাটের দশক থেকে গণসংগীতের সঙ্গে যুক্ত ফকির আলমগীর। ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণ শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে। স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন ৭১ বছর বয়সী এ শিল্পী। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার ১৯৯৯ সালে ফকির আলমগীরকে একুশে পদক দেয়।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার কণ্ঠের বেশ কয়েকটি গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। এর মধ্যে ‘ও সখিনা’ গানটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ১৯৮২ সালের বিটিভির আনন্দমেলা অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর দর্শকদের মাঝে সাড়া ফেলে। গানটি লিখেছেন আলতাফ আলী হাসু। কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি গানটির সুরও করেছেন ফকির আলমগীর।

ফকির আলমগীর সাংস্কৃতিক সংগঠন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা, গণসংগীত চর্চার আরেক সংগঠন গণসংগীতশিল্পী পরিষদের সাবেক সভাপতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা ফকির আলমগীর গানের পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখিও করতেন। ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’, ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘আমার কথা’, ‘যারা আছেন হৃদয় পটে’সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ হয়েছে তার।

পিডিএসও/ জিজাক

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
গার্ড অব অনার,ফকির আলমগীর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close