যেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত মিতা হক
নিজ গ্রামে বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক। রোববার দুপুরে কেরাণীগঞ্জের ভাওয়াল স্কুল মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মিতা হকের জামাতা অভিনেতা মোস্তাফিজ শাহীন জানান, সকাল ১১টার দিকে ছায়ানটে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর মিতা হকের মরদেহ কেরাণীগঞ্জে নিজ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভাওয়াল স্কুল মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান করোনাক্রান্ত মিতা হক। তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
প্রসঙ্গত, মিতা হকের জন্ম ১৯৬২ সালে। তিনি প্রথমে তার চাচা ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সানজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলাবাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে গান শেখা শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে নিয়মিত তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সংগীত পরিবেশন করতেন।
২০২০ সালে মিতা হক একুশে পদকে ভূষিত হন। তিনি ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। এ ছাড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মিতা হককে বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া হয়।
সংগীতশিল্পী মিতা হক অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী। তাদের মেয়ে ফারহীন খান জয়ীতাও একজন রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী।
মিতা হক ছায়ানটের রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান ছিলেন তিনি। তাছাড়া দায়িত্বপালন করেছেন রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন পরিষদের সহ-সভাপতি হিসেবে।
সুরতীর্থ নামে একটি সংগীত প্রশিক্ষণ দলও ছিল এই শিল্পীর।
গত ২৫ মার্চ নমুনা পরীক্ষা করলে মিতা হকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। গত ৩১ মার্চ থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পিডিএসও/ জিজাক