বিনোদন প্রতিবেদক

  ১৭ জানুয়ারি, ২০২১

বঙ্গবন্ধুকে আজীবন সম্মাননা উৎসর্গ করলেন সোহেল রানা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জীবনের সেরা পুরস্কার ‘আজীবন সম্মাননা’ উৎসর্গ করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রযোজক ও চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা)। রোববার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তির মঞ্চে এ সম্মাননা উৎসর্গ করেন তিনি।

এ সময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ৪৯ বছর আগে স্বাধীন বাংলাদেশ যখন হলো তখন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ছবি, তথা মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ছবি ‘ওরা ১১ জন’ আমি প্রযোজনা করেছিলাম। সেই ছবিটি উনি দেখেছিলেন। আমি যখন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গেলাম, বঙ্গবন্ধু বললেন ‘ভালোইতো বানাইছিস। এখানেই থেকে যা।’ আমি সেই গুরু বাক্যকে চিরধার্য করে চলচ্চিত্র জগতেই রয়ে গেলাম। উনার সেই কথার জন্যই আমি আজকের সোহেল রানা, এই প্রাপ্তি। তাই আমার আজকের এই সম্মাননা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করছি।

নিজের অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে সোহেল রানা বলেন, আমি যখন জানতে পারলাম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আমাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে, তখন আমার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হলো। হৃদয়ের মাঝখানে আমার মনে হলো, একটা দুঃখবোধ চলে এলো। কিন্তু আমি বুঝে উঠতে পারলাম না, সেই দুঃখবোধটা কেন! চলচ্চিত্র জগতে আমি গত ৪৬ বছর ধরে কাজ করছি, এ সময়ে এসে চলচ্চিত্র জগতে আমার যতটুকু পাওনা ছিল, আজ বোধহয় তার ইতি হয়ে গেল। সে কারণেই হয়তো দুঃখবোধটা।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আজীবন পুরস্কারপ্রাপ্তদের যেন সবসময় সম্মান জানানোর ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিবছর যারা পুরস্কার পাচ্ছেন তাদের ৪ বছরের জন্য না হলেও অন্তত ২ বছরের জন্য হলেও সিআইপি (কালচারাল ইমপর্টেন্ট পারসন) ঘোষণা করা হোক। শুধু তারকা নয়, চলচ্চিত্রের সব ধরনের শিল্পী, পরিচালক ও কুশলীদের জন্য রেসনিং ব্যবস্থা করার অনুরোধ করছি। আপনি যদি নির্দেশ করেন, আমি মনে করি বিএফডিসির মহাব্যবস্থাপকের মাধ্যমে এটি করা হলে সাধারণ কোনো শিল্পী, কর্মচারী মৃত্যুর আগ পর্যন্ত না খেয়ে মারা যাবেন না।

এ সময় তিনি অশ্রুসিক্ত চোখে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট এবং ভক্ত-দর্শকদের কাছে কৃতঙ্গতা প্রকাশ করেন।

এদিকে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠান। গণভবন থেকে অন্তর্জালের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। তথ্য সচিব খাজা মিয়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

এ বছর চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখায় যুগ্মভাবে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) এবং কোহিনূর আক্তার সুচন্দা। ২০১৯ সালে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য থেকে ২৫টি ক্যাটাগরিতে ৬টি যুগ্মসহ ৩১ জনকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।

পিডিএসও/নিহাল/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সোহেল রানা,সম্মাননা,বিনোদন,জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close