কলকাতা প্রতিনিধি

  ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

শর্বরী দত্তের রহস্যজনক মৃত্যু

প্রয়াত বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্ত। বৃহস্পতিবার রাত ১২.১৫ নাগাদ নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয় তার। যদিও মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। তদন্ত করছেন হোমিসাইড শাখার দুঁদে কর্তারা।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ কড়েয়া থানা এলাকার ব্রডস্ট্রিটের বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় শর্বরী দত্তের (৬৩) দেহ। তাকে বাথরুমে পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। ডাকা হয় পারিবারিক বন্ধু ও চিকিৎসক অমল ভট্টাচার্যকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কড়েয়া থানা ও কলকাতা পুলিসের হোমিসাইড শাখা।

তবে শর্বরী দত্তের মৃত্যু ও ঘটনা পরম্পরার বেশ কিছু বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। বাড়ির লোকের বয়ান অনুযায়ী, শর্বরী দত্ত হরমোনাল ওষুধের ওভার ডোজে বাথরুমে মাথা ঘুরে পড়ে যান। সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। পুলিশ যখন যায়, তখন মৃতদেহ বেডরুমে বিছানায় শোয়ানো ছিল। বাড়ির লোক হঠাৎ মৃতদেহ সরাতে কেন গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

শর্বরী দত্ত জ্ঞান হারিয়ে চিৎ হয়ে পড়ে যান বা পড়েছিলেন বলে বাড়ির লোক পুলিশকে জানিয়েছেন। এইভাবে কেউ পড়লে তার মাথার পেছনে আঘাত লাগে। প্রাথমিকভাবে মাথার পেছন দিকে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। ইন্টারনাল আঘাত আছে কিনা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে।

পুলিশকে সব থেকে বেশি ভাবাচ্ছে শর্বরী দত্তের বাঁ পায়ের গোড়ালির নিচে একটি টাটকা কাটা দাগ। মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে কোনওভাবেই এই দাগের সম্পর্ক নেই। দাগ এলো কোথা থেকে? এটা কি কোনও অস্ত্রের দাগ নাকি অন্য কিছু, জানা যাবে ময়নাতদন্তের পর।

এখনও পর্যন্ত তার মতো পুরুষদের ফ্যাশন নিয়ে কেউ কাজ করেননি। বলা যায়, ছেলেদের ফ্যাশনের ট্রেন্ড সেট করে দিয়েছেন তিনি। ফ্যাশন দুনিয়ায় নীল, সবুজ, কালো, হলুদ রঙিন ধুতির চল হয় তার হাত ধরেই। ১৯৯৬ সালের তার সেই সৃষ্টির পর থেকেই বদলে যায় ফ্যাশনের সংজ্ঞা। তার ডিজাইনের পোশাকে সাজেননি ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অভিনেতা বোধহয় হাতে গোনা।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
শর্বরী দত্ত,ফ্যাশন ডিজাইনার,মৃত্যু
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close