জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা পপি। গত ২২ জুলাই থেকে প্রায় ১১ দিন করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। বর্তমানে তার শরীরে কোনো উপসর্গ নেই। তবে শরীর দুর্বল এবং মুখে রুচি নেই। এ ছাড়া আর কোনো সমস্যা নেই।

জনপ্রিয় নায়িকা পপি বলেন, অনেকেই শারীরিক ফিটনেসের জন্য জিম করে। কিন্তু আমি আমার পুরো ক্যারিয়ারের কোনো দিনই এটা করিনি। শুটিংয়ে যে পরিমাণ পরিশ্রম করা লাগত এতে আর জিম করার প্রয়োজন মনে করিনি।

করোনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুরুতে ভেবেছিলাম মরেই যাব। ভয়ে মাঝেমধ্যে ভেঙে পড়তাম। পরেই সবার মানসিক সাপোর্ট মনোবল শক্ত করে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চিকিৎসা নিয়েছি। মানুষের দোয়ায় ও আল্লাহর অশেষ রহমতে সুস্থ হয়ে উঠছি। করোনা আক্রান্ত হয়ে জীবনের সবচেয়ে দুর্বিষহ ঈদ কাটিয়েছেন পপি।

তিনি বলেন, করোনায় সার্ভাইভ করে বেঁচে আছি এটাই কম কী! সুস্থতা নিয়ে বেঁচে থাকলে জীবনে অনেক ঈদ পালন করতে পারব। জীবনে এখনো অনেক কিছু করা বাকি।

করোনা আক্রান্ত হওয়ার শুরু থেকে পপি তার খুলনার খালিশপুরের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি বলেন, এ সপ্তাহেই পুনরায় করোনায় টেস্ট করাব। মানুষ আমাকে কতটা ভালোবাসে করোনার কবলে পড়ে আবার বুঝেছি। আশা করছি শিগগিরই করোনামুক্ত হতে পারব।

মার্চে বাংলাদেশে করোনা বিস্তারের আগে খুলনার খালিশপুরে নিজের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন পপি। এরপর সাধারণ ছুটি ও পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে আর ঢাকায় ফিরতে পারেননি এ নায়িকা। তারপর থেকে স্থানীয় মানুষদের বিভিন্নভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এ সময় তিনি দেশের সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ পপি।

পিডিএসও/হেলাল