শেকৃবি প্রতিনিধি
ঢাকা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট
প্রশাসনের মদদের র্যাগিংয়ের অভিযোগ
ঢাকা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (এটিআই) ক্যাম্পাসের নিয়ম কানুন শেখানোর নাম করে নবীন (জুনিয়র) শিক্ষার্থীেেদ মারধর ও মানসিক হয়রানির করা হয়েছে। জ্যেষ্ঠ (সিনিয়র) শিক্ষার্থীদের করা এই হয়রানিতে হল প্রভোস্ট পরোক্ষ সমর্থন দিয়েছেন। এই অভিযোগ করেছেন চতুর্থ সেমিস্টারে অধ্যয়নরত একাধিক শিক্ষার্থী। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, বুধবার রাতে ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের রুমে মিটিংয়ের জন্য ডাকেন। ক্যাম্পাসের নিয়ম কানুন শেখানোর নাম করে এ সময় কয়েকজনকে মারধর করেন। মিটিং দেওয়ার আগে হল সুপারের নিকট অনুমতি চাইলে তিনি অনুমতি দেন বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।
এদিকে পরদিন বৃহস্পতিবার পুনরায় জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীরা ডাকে নবীন শিক্ষার্থীরা যেতে অস্বীকৃতি জানিয়ে হলের ৪০৬ নম্বর কক্ষে অবস্থান নেন। এ সময় জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীরা কক্ষের কাচ ও জানালা ভাঙচুর করেন। আতঙ্কিত হয়ে নবীন শিক্ষার্থীরা হল সুপারকে ফোনে বিষয়টি জানালেও তিনি এক ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে আসেন।
র্যাগিংয়ে জড়িত জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদৈর মধ্যে আছেন ষষ্ঠ সেমিস্টারের জুবায়ের আকন্দ হৃদয়, সাজিদুল ইসলাম, রেদোয়ান ইসলাম, মারুফ, রায়হান রাহি, আবির, মেহেদী, ফাহাদ, এনায়েত, নওশাদ জাহান বাধন, সানি সহ আরো কয়েকজন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হল সুপার জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘হলে মারামারির মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। সিনিয়র-জুনিয়ররা একটু বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে আমি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে সব ঠিকঠাক করে দিয়েছি।’ হলে ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওরা সবাই ছোট। উত্তেজনায় কিছু বিশৃঙ্খলা হতে পারে। আর আমাদের কাছে এসব বিষয়ে কোনো অভিযোগই আসেনি।’হয়রানিতে যুক্ত থাকায় অভিযুক্ত কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, তারা জুনিয়রদের গায়ে হাত তোলেননি। ক্যাম্পাসের সাধারণ কিছু নিয়ম কানুন শেখানোর জন্য নবীনদের নিয়ে শুধু বসা হয়েছিল, এবং তারা ‘বড়ভাই’ হিসেবে শাসন করেছেন। তাদের গায়ে কেউ হাত তোলেনি। তাদের কক্ষও ভাঙচুর করেননি, হয়তো নিজেরাই কক্ষের ভাঙচুর করেছে।