নিজস্ব প্রতিবেদক
বাউবিতে ট্রেজারারের ভিসি হতে তৎপর, তবে...
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয়ের পর বাউবির ভিসি, ২ জন প্রোভিসি এবং ৪ জন ডিন পদত্যাগ করলেও আওয়ামী সরকারের দলীয় কোটায় নিয়োগকৃত বাউবি বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল এখনো পদত্যাগ করেননি।
আন্দোলনকারী ছাত্ররা ট্রেজারারের পদত্যাগের দাবিতে গত ১ সেপ্টেম্বর ট্রেজারার দপ্তরে তালা লাগিয়ে সুপারগ্লু দিয়ে আটকিয়ে দেয়।
বুধবার সকালে ট্রেজারার আওয়ামী মদদপুষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের দিয়ে তালা ভেঙে দপ্তর খুলে ফেলে।
প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্র জানায়, ট্রেজারার দলবল নিয়ে রেজিস্ট্রার মো: খালেকুজ্জামানকে ডেকে ধমক দিয়ে বলেন তাকে ভিসি চার্জ দেয়ার সুপারিশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠাতে। রেজিস্ট্রার খালেকুজ্জামান এই কাজ করতে পারবেন না জানিয়ে দিলে, রেজিস্ট্রারকে ট্রেজারার মোস্তফা কামাল বলেন, আমার দুই ভায়রা সচিব আমার বাড়ি কুমিল্লায় ,শিক্ষা উপদেষ্টা আমার স্যার। তখন রেজিস্ট্রার বলেন আপনি সচিব অথবা শিক্ষা উপদেষ্টাকে বলেন আপনার নাম সুপারিশ করে মন্ত্রণালয় থেকে পাঠাতে, আমি কিভাবে আপনার নাম মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো? আপনিতো বিগত সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত, ছাত্ররা আপনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। আপনার দপ্তরে আন্দোলনকারী ছাত্ররা হামলার শিকার হয়েছে। তারা আপনার পদত্যাগ চেয়ে আপনার দপ্তরে তালা দিয়েছে, আমি এমন মুহূর্তে আপনার নাম মন্ত্রণালয়ের পাঠাবো কিভাবে।
এদিকে ট্রেজারার মোস্তফা আজাদ কামালের বিরুদ্ধে বাউবিতে ৩ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্রদেরকে দুষ্কৃতকারী ও রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যা দিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন ও বক্তব্য রাখার প্রমাণও রয়েছে।
এ বিষয়ে ট্রেজারা মোস্তফা আজাদের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমি বাউবি বঙ্গবন্ধু শিক্ষক সমিতির সাথে কখনো জড়িত ছিলাম না। আমি কোন রাজনীতি করি না। গত ১ তারিখে কিছু ছাত্র আমার বাসায় আসার কথা বললে আমি তাদের এলাউ করিনি।
বাউবি সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা আজাদ বঙ্গবন্ধু শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সর্বশেষ সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। এছাড়া আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে চলা শিক্ষক মানববন্ধনের নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে।