জাবি প্রতিনিধি
পদত্যাগ করেছেন জাবি উপ-উপাচার্য ও সালাম-বরকত হলের প্রভোস্ট
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ পদত্যাগ করেছেন। রবিবার (১১ আগস্ট) মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
পদত্যাগপত্র উল্লেখ করা হয়, আমি উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) দায়িত্ব পালন কালে গত একবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জট কমানো, শিক্ষা গবেষণার প্রসার থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক র্যাংকিং এ নিয়ে আসার জন্য সার্বিক প্রয়াস নিয়েছি।
উল্লেখ্য, সরকারের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে গোলাগুলিসহ চরম নিপীড়ন চালায়। এসময় তার ভূমিকার জন্য প্রশ্নবিদ্ধ হন তিনি।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম ও রেজিস্ট্রার আবু হাসান পদত্যাগ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ পদত্যাগ করলেন তিনি।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে ও প্রশাসনের পক্ষে থেকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান করার অভিযোগ এনে শহীদ সালাম—বরকত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সুকল্যাণ কুমার কুন্ডু কে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন হলের শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
গতকাল শনিবার (১০ আগস্ট) রাত সোয়া ১১টায় শহীদ সালাম—বরকত হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে শিক্ষক কোয়ার্টারে গেলে সেখানে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টকে আজ দুপুর ১২টার মধ্যে পদত্যাগ করার আল্টিমেটাম দিলে তিনি পদত্যাগ পত্র জমা দেন। সেখানে তিনি পারিবারিক নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে পদত্যাগ করেছেন বলে জানান।
এদিকে প্রভোস্টের পদত্যাগ পত্রে উল্লেখিত বক্তব্যের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা জানান, প্রভোস্ট হলে থাকাকালীন যে নিয়োগ বাণিজ্য করে গেছেন এবং বৈষম্যের পক্ষে ছিলেন সেই অপরাধ ঢাকতে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন এবং মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। পদত্যাগ পত্রে উল্লেখিত কারণের কোন ভিত্তি নেই। ছাত্রলীগের সাথে সমঝোতা করে নিয়োগ বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।