বুদ্ধিবৃত্তি দিয়ে তরুণদের বাম রাজনীতিকে আকৃষ্ট করতে হবে বলেছেন শিশু সাহিত্যিক আখতার হুসেন। বাংলা একাডেমি পুরস্কারজয়ী এই সাহিত্যিক বলেন, ‘তলোয়ারের জোরে যে জয় হয়, সেটা ক্ষণস্থায়ী। বুদ্ধিদীপ্তি দিয়ে যে জয় করা হয়, সেটা স্থায়ী হয়।’

কমিউনিস্ট পার্টিকে অচিরেই দেশের প্রধান বিরোধী দলে পরিণত করতে দলের মধ্যে ‘বিভক্তি’ দূর করারও তাগিদ দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্র ইউনিয়নের ৪২তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি কথা বলছিলেন।

ছাত্র ইউনিয়নের দলীয় সংগীতের রচয়িতা আখতার হুসেন বলেন, ‘নতুন যারা রাজনীতে আসবে, তার কী দেখে আসবে? তারা আলোকিত মানুষ চাইবে, তারা বুদ্ধিবৃত্তি চাইবে, বুদ্ধিবৃত্তি দিয়ে আমাদের তাদের আকর্ষণ করতে হবে।’

• শুক্র ও শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রে কাউন্সিল অধিবেশন
• কাউন্সিলে এক বছরের জন্য নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ও সংগঠনের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ

দেশের বাম রাজনৈতিক দলকে বড় করার তাগিদ দেন আখতার হুসেন। তিনি বলেন, ‘কোনো নির্দিষ্ট মডেল মানা যাবে না। যা বাস্তব সেই অনুযায়ী আমাদের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। পুরনো মডেল দিয়ে এখন বিপ্লব সম্ভব নয়। এদেশের মাটি বলবে আমি লাঙল চালাব, না ট্রাক্টর চালাব। লাঙল উঠে গেছে, এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে ছোট ট্রাক্টর চালাব, না বড় ট্রাক্টর চালাব। দ্বিতীয়ত, এই মাটিতে আমি কী চাষ করব? মাটির উপর নির্ভর করে আমাদের রাজনীতিতে যেতে হবে। এর বাইরে গেলে প্রতি মুহূর্তে আমরা ফেল করব।’

সংগঠনের সভাপতি দীপক শীল বলেন, ‘ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে তুলে দিয়ে অগণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস চাই। আমরা রক্তপাতহীন, অসহিংস, সন্ত্রাসমুক্ত ছাত্ররাজনীতি চাই।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক নেতাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসান প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে দলটি।

এদিকে আগামী শুক্র ও শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রে ছাত্র ইউনিয়নের কাউন্সিল অধিবেশন হবে। এর মাধ্যমে আগামী এক বছরের জন্য নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ও সংগঠনের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবে সংগঠনটি।