ইবি প্রতিনিধি

  ০৬ জুন, ২০২৪

ইবিতে র‌্যাগিংকাণ্ডে মানবাধিকার কমিশনের চিঠি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) র‌্যাগিংয়ের নামে শিক্ষার্থীকে রাতভর অকথ্য নির্যাতনের একটি ঘটনায় গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, তা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ওই র‌্যাগিংয়ের ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গতকাল

বৃহস্পতিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) ফারজানা নাজনীন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে একজন নবীন শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে কাফি, সাগর ও উজ্জ্বল নামে তিনজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হলের আবাসিক শিক্ষক ড. আলতাফ হোসেনকে আহ্বায়ক ও সহকারী রেজিস্ট্রার জিল্লুর রহমানকে সদস্য সচিব করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) ফারজানা নাজনীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা আগামী ২৯ জুলাইয়ে মধ্যে ইবি রেজিস্ট্রারকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অবহিত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ইবি উপাচার্যের অবগতির জন্য উপাচার্যের একান্ত সচিবকেও এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশের অনুলিপি ডাক ও ইমেইল যোগে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ র‌্যাগিংয়ের নামে শিক্ষার্থী নির্যাতনের খবর প্রকাশের পরপরই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি আমলে নেয়। আমাদের সর্বশেষ বেঞ্চে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনার সিদ্ধান্ত হচ্ছে, যে সুপারিশ হলো তদন্ত কমিটি করেছে যদিও অপরাধের তুলনায় শাস্তির সুপারিশ পর্যাপ্ত নয়, এটা ফৌজদারি অপরাধ। তারপরও মানবাধিকার কমিশন প্রত্যাশা করে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দ্রুত কার্যকর করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরবর্তী বেঞ্চে আলোচনা করা হবে। এবিষয়ে উপাচার্যের একান্ত সচিব মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, ‘এখনো মেইল চেক করিনি। এ মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে, ক্যাম্পাসও বন্ধ। যদি এ ধরনের মেইল এসে থাকে তাহলে বিষয়টি আমি উপাচার্য স্যারের নজরে আনার চেষ্টা করব’। তবে এবিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে তিনি ফোন বন্ধ করে রাখেন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে লালন শাহ হলে শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত কাফিকে ২ বছর এবং সাগর ও উজ্জ্বলকে এক বছরের (দুই সেমিস্টার) জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করে। গত ২ জুন হল ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশের আলোকে র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত, কাফি, সাগর ও উজ্জ্বল- এ তিনজনকে এক বছরের (দুই সেমিস্টার) জন্য সাময়িক বহিষ্কার করে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close