আশিকুর রহমান শুভ, ঢাবি

  ০১ জুন, ২০২৩

গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ঠেকাতে ঢাবিতে নীতিমালা চূড়ান্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গবেষণা ও প্রকাশনায় স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ও ‘চৌর্যবৃত্তি (Plagiarism)’ ঠেকাতে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের নিয়মিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এ নীতিমালায় গবেষণা নকল বা সামঞ্জস্যের মাত্রা অনুযায়ী সংশোধনের সুযোগ দেওয়াসাপেক্ষে জরিমানা, ডিগ্রি বাতিল ও পদাবনতি, এমনকি চাকরিচ্যুতিসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

তিনি বলেন, একাডেমির কাউন্সিলে যেটা চূড়ান্ত হয়েছিল, সেটার টুকটাক সংশোধন করা হয়েছে। বাংলাদেশে এ ধরনের সিদ্ধান্ত এটাই প্রথম। ‘চৌর্যবৃত্তি’ রোধ নীতিমালায় চাকরিচ্যুতি, ডিগ্রি বাতিল, অনেক বছর কাজ থেকে বিরত রাখা ও জরিমানাসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আমরা ভালো একটা রেগুলেশন করেছি।

এর আগে গত জানুয়ারিতে ‘দ্য রুলস ফর দ্য প্রিভেনশন অব প্লেজারিজম’ শীর্ষক নীতিমালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এরপর তা ডিনস কমিটির মিটিংয়ে উত্থাপন করার পর সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত করা হলো।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় বিশ্বিবদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রেবেকা সুলতানার বিরুদ্ধে পিএইচডি গবেষণায় প্লেজারিজমের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিনা অনুমতিতে বিদেশে অবস্থান করা ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) সহকারী অধ্যাপক ক্ষণিকা গোপের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।

পিডিএস/মীর

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঢাবি,গবেষণা,চৌর্যবৃত্তি
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close