ঢাবি প্রতিনিধি :

  ২৬ মার্চ, ২০২৩

রমজানে ক্যান্টিনে খাবারের দাম বৃদ্ধি, অস্বস্তিতে ঢাবি শিক্ষার্থীরা

ছবি : সংগৃহীত।

রমজান মাস শুরুর আগে যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের যে খাবার কিনতে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা খরচ হতো, এখন তাতে লাগছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির কারণে আবাসিক হলের ক্যান্টিনগুলোতে খাবারের দাম বাড়াতে হয়েছে বলে দাবি ক্যান্টিন মালিকদের।

তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দাম যে হারে বাড়ানো হয়েছে খাবারের মান রয়েছে সেই আগের মতোই। হল ক্যান্টিনগুলোতে খাবারের কয়েকটি পদ একত্রে করে দাম রাখা হচ্ছে চড়া মূল্য। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কেননা আবাসিক হলে থাকা অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের। তাদের অধিকাংশ টিউশনি কিংবা বিভিন্ন পার্টটাইম চাকরি করে অর্থ উপার্জন করে এবং এর মাধ্যমে তাদের পড়াশোনা এবং আনুষঙ্গিক ব্যয় বহন করে। যেখানে আগের দামেই একজন নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীর খরচ বহন করতে হিমশিম খেতো সেখানে এভাবে হুট করে দাম বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়ে গেছেন তারা।

রমজানের প্রথম সেহেরির অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে টিউশনি করে নিজের খরচ নিজেই চালাই। কিন্তু রমজান মাসে খাবারের দাম বাড়ায় অতিরিক্ত দামে খাবার খাওয়া আমার জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আগে যেখানে প্রতি বেলা ৫০ টাকা খরচ হতো এখন সেখানে ৭০-৮০ টাকা লাগছে।

খবর নিয়ে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, সূর্যসেন হল, কবি জসীমউদ্দিন হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলসহ প্রায় সব হলে খাবারের দাম আগের থেকে প্রায় ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

কয়েকটি হল ঘুরে দেখা যায়, গরু ও খাসির মাংস ও ভাত ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০ টাকা, গরুর মাংস ও ভাত ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, মুরগির মাংসের ভুনা ও ভাত ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা, মাছ ৪০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০-৭০ টাকা, সবজি ৫ টাকা থেকে বেড়ে ১০ টাকা। একটু ভালো মানের খাবারের আশায় অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ও হলের খাবারের দোকানগুলোতে খায়। সেখানেও খাবারের দাম বেড়েছে আগের তুলনায়।

ক্যান্টিন মালিকেরা বলছেন, রমজান মাস উপলক্ষ্যে বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম আগের থেকে দেড়-দ্বিগুণ বেড়েছে, যার ফলে খাবারের দাম বৃদ্ধি করা ছাড়া উপায় নেই। এ ছাড়াও অন্যান্য মাসে যেখানে তিন বেলা খাবার বিক্রি হতো সেখানে রমজানে মাসে শুধু একবেলা খাবার বিক্রি করা হয় কিন্তু সেই তুলনায় আয় থেকে রমজান মাসে খরচ বেশি। কেননা কর্মচারীদের বেতনসহ ঈদ উপলক্ষ্যে বোনাস দিতে হবে এই আয় থেকেই।

দাম বৃদ্ধি ও খাবারের মানের বিষয়ে কবি জসিম উদ্দিন হলের ক্যান্টিন মালিক বলেন, দামের বিষয়ে আমরা নিরুপায়। দাম কিছুটা না বাড়ালে আমরা চালাতে পারব না। মাছ-মাংসের পিসের সাইজও বৃদ্ধি করেছি। সেই সঙ্গে খাবারের মান বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছি।

পিডিএস/এএমকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঢাবি শিক্ষার্থী,খাবারের দাম বৃদ্ধি,ক্যান্টিন,রমজান
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close