শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
গবেষণামাঠে মাদকের আড্ডা, নিরাপত্তাঝুঁকিতে ছাত্রীরা
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) গবেষণার জন্য সংস্কার করা মাঠটি মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই মাঠ সংস্কারের কাজে অর্ধকোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। শেখ সায়েরা খাতুন ছাত্রী হলের সামনে এই মাঠকে গবেষণামাঠ-২ হিসেবে সংস্কার করা হলেও এখন খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, এখানে দিনের বেলায় চলে খেলাধুলা আর রাতে বসে মাদকের জমজমাট আসর। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হলের ছাত্রীরা। তারা রয়েছেন নেশাখোরদের দ্বারা হেনস্তার ঝুঁকিতে।
জানা যায়, সাবেক উপাচার্য মরহুম শাদাত উল্লার সময়ে এটি দ্বিতীয় গবেষণামাঠ হিসেবে সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরবর্তী সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মেদের সময়ে মাঠের সংস্কারের কাজ করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকারী ইঞ্জিনিয়ার বলেন, মাঠ ভরাটের সময় গবেষণায় চাষ উপযোগী মাটি ব্যবহার করার কথা থাকলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইট, খোয়াযুক্ত চাষ ও গবেষণার অনুপযোগী মাটি ব্যবহার করে ভরাট করে। যার কারণে ১০ লাখ টাকার বিল আটকে দেয় তৎকালীন প্রশাসন। এরপর বর্তমান প্রশাসন সেই বিল ছেড়ে দেয়। গবেষণার জন্য নির্মিত এ মাঠ পিকনিক ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও বহিরাগতদের খেলাধুলার জন্য ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যা রাতে মাদকসেবীদের আড্ডার নিরাপদ স্থান হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। এ নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ তুলছেন মাঠ সংলগ্ন ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, রাতে মাদকসেবীরা মাঠে বসে আড্ডা তো দেয়ই, সঙ্গে লেজার লাইট ব্যবহার করে অশ্লীল শব্দ করে, শিষ দেয় এবং দিনের বেলা মাঠের চিল্লাচিল্লিতে পড়াশোনা করা খুব কষ্টকর হয়ে যায়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহিদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, এটার কিছু মাটি ভরাট করার কাজ আছে, সেটা শেষ হলেই আমরা গবেষণার কাজে ব্যবহার শুরু করবো। মাদকের আসরের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আজকেই এটার ব্যবস্থা নেব।
পিডিএস/মীর