মঈনুদ্দীন ইরফান, কুবি

  ২০ মার্চ, ২০২৩

অনশন ভাঙলেন কুবি’র চার শিক্ষার্থী 

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

প্রশাসনের আশ্বাসে ২৩ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন ৫ দফা দাবিতে অনশনরত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ৭ শিক্ষার্থী। সোমবার (২০ মার্চ) বিকেলে তাদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান। পাঁচ দফা দাবি থেকে ৪টি দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা যায়, প্রক্টরের অপসারণসহ পাঁচ দফা দাবিতে টানা ১০ দিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পর কোনো ফলাফল না পাওয়ায় গত রবিবার বিকেল ৪টায় অনশন শুরু করেন সাময়িক বহিষ্কার হওয়া লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী এনায়েত উল্লাহ, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান চৌধুরী হৃদয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ শাহরিয়া ও কাজল হোসাইন। পরে রাত ৮টায় কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান পলাশ তাদের সঙ্গে যোগ দেন। দাবি আদায় না হওয়ায় সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম এবং দুপুর ১টায় মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রবি দাস অনশন শুরু করেন।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। তোমরা তোমাদের শিক্ষা জীবনে ফিরে যাও। আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি তোমাদের আমাদের মিলে এই বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা তোমাদের পুরো নিশ্চয়তা দেওয়ার পরই তোমরা অনশন ভেঙেছ এটা ধরে নিচ্ছি। এই আন্দোলন শেষ, এখান থেকে চলে যাবা তারপর যদি কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

আন্দোলনের মুখপাত্র রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আমাদের আন্দোলন শীতল করেছি। আমাদের ৫টা দাবির মধ্যে ৪টা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। প্রক্টরের বিরুদ্ধে যদি যথাযথ প্রমাণ দিতে পারি তাহলে ব্যবস্থা নিবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে আমরা আবার আন্দোলনের দিকে যাব।’

সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবাইকে আইডি কার্ড নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হবে। আর অছাত্র এবং অবৈধ কেউ হলে থাকতে পারবে না। যে দুজন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার দেওয়া হয়ছে সেটা স্থগিত থাকবে। এটা নিয়ে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তাদের রিপোর্ট অনুসারে সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর প্রক্টরের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ দিতে পারলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় ‘দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ’, ‘চিহ্নিত আসামিদের গ্রেপ্তার এবং বিচার’, ‘বহিরাগত, অছাত্র এবং সন্ত্রাসীদের হলে কিংবা ক্যাম্পাসে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা’, ‘দুই শিক্ষার্থীর অযাচিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার’ এবং ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস সুনিশ্চিত করা’ দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন তারা।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
অনশন,কুবি শিক্ষার্থী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close