মো. মঈনুদ্দীন ইরফান, কুবি

  ০৮ মার্চ, ২০২৩

ফের উত্তপ্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, আহত ৩    

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগের তিন নেতাকে প্রকাশ্যে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে রেজা-ই-এলাহী সমর্থিত স্থানীয় যুবদল নেতা রনি, হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি বিপ্লব চন্দ্র দাস, ইকবাল, স্বজন বরণ বিশ্বাসসহ ১২ থেকে ১৫ জন কর্মী।

বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বুধবার (৮ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান হৃদয়, বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইদুল ইসলাম রোহান।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি রাত ১০টায় রেজা-ই-এলাহী সমর্থিত নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে উঠতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেন। পরে এক সহকারী প্রক্টরের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মঙ্গলবার (৭ মার্চ) এনায়েত উল্লাহ ও সালাম চৌধুরীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে।

এ বিষয়ে হত্যা মামলার আসামি বিপ্লব চন্দ্র দাসের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কল কেটে দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন, সালমান, সাদ্দাম, সায়েমসহ কয়েকজন আল আমিনের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। এই মুহূর্তে রেজা এলাহি গ্রুপের ১২ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী অতর্কিত হামলা চালায়।

এতে শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারান, বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইদুল ইসলাম রোহানের হাত ভেঙে গেলে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভুক্তভোগী সালমান চৌধুরী জানান, আমাকে বিপ্লব চন্দ্র দাস ডেকে নিয়ে যায় এবং বহিষ্কার হওয়া সত্ত্বেও কেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করছি জানতে চেয়ে আমাকে এবং হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহকে মারধর শুরু করেন।

এদিকে, বিষয়টিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ইন্ধন হিসেবে মন্তব্য করে কাজী নজরুল ইসলাম হলের সাবেক সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, খুনি বিপ্লব ও ছাত্রদলের লোকজন কীভাবে একজন হল ছাত্রলীগের সেক্রেটারিকে মারধর করে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ইন্ধনে তারা আজ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আধা ঘণ্টার মধ্যে যদি এর সমাধান না আসে তাহলে আমরা প্রক্টরের পদত্যাগ চাই।

এ বিষয়ে কোটবাড়ী ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক এস এম আতিকুউল্লাহ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। বহিরাগতরা যেহেতু আক্রমণ করেছে তাই আমরা তাদের যতদ্রুত সম্ভব গ্রেপ্তার করব।

প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, এসব বিষয়ে আমার কোনো ইন্ধন নেই। যারা এমনটি বলছে তাদের এটি প্রমাণ করতে হবে। প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। এখন এটা তাদের বিষয়।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ফের উত্তপ্ত,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close