মো. আবদুল্লাহ, শেকৃবি

  ০৩ মার্চ, ২০২৩

ইলিশ-টুনা মাছের কৌটাজাত প্রযুক্তি উদ্ভাবন শেকৃবি’র গবেষকদের

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে মানুষ। সময় বাঁচাতে রেডি-টু-ইট এবং রেডি-টু-কুক খাদ্যের দিকে ঝুঁকছে সবাই। বাড়ছে রেডিমেড খাবারের চাহিদা। ব্যস্তময় জীবনে কিছুটা স্বস্তি আনতে দেশে প্রথমবারের মতো ইলিশ ও টুনা মাছের ক্যানিং বা কৌটাজাতকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) একদল গবেষক। দেশের মানুষের ইলিশের চাহিদা পূরণ করে বৈদেশিক আয় বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে এই প্রযুক্তি।

সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে ইলিশের উৎপাদন ও সংগ্রহ। দেশের সীমা পেরিয়ে বিদেশেও বাড়ছে এই ইলিশের চাহিদা। উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তিতে কৌটাজাত করা ইলিশের কাঁটা নরম হয়ে মাংসের সঙ্গে মিশে যায়; তাই কাঁটা বেছে খাওয়ার প্রয়োজন হবে না। নরম কাঁটা দেহে ক্যালসিয়ামের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হবে। উপকূলীয় সামুদ্রিক এলাকায় প্রচুর টুনা ধরা পড়লেও দেশের বাজারে এর চাহিদা কম থাকায় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে অযত্নে পড়ে থাকে এই মাছ। দেশের বাইরে প্রচুর চাহিদা থাকায় জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশ কৌটাজাতকৃত টুনার রপ্তানিতে যুক্ত। এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে দেশে উৎপাদিত কৌটাজাত ইলিশ ও টুনা রপ্তানিতে বৈদেশিক আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছেন গবেষকরা।

বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য অধিদপ্তরের অধীনে সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের অর্থায়নে পরিচালিত এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ, অ্যাকুয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব এবং গবেষণা সহযোগী সহকারী অধ্যাপক মো. মাসুদ রানা। গবেষকদের দাবি, বাংলাদেশে তাঁরাই প্রথম এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন।

গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব বলেন, বিশ্বের মোট ইলিশের ৮৬ ভাগ উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। দেশের মূল রপ্তানি আয়ের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আসে ইলিশ থেকে। তাই ইলিশ যদি কৌটাজাত করে দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে রপ্তানি করা যায়, তবে আরো বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব, যার সুফল পাবে প্রান্তিক জেলেরাও। প্রযুক্তিটি স্বল্প ব্যয়ে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এই প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের আয় বাড়াতে পারেন।

ড. কাজী আহসান হাবীব জানান, কৌটাজাত ইলিশ ও টুনা মাছের স্বাদ, মান, নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বকাল বৃদ্ধির জন্য গবেষণা চলমান রয়েছে।

পিডিএসও/এমএ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ইলিশ,টুনা মাছ,শেকৃবি
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close