কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে পরপর দুই বার মধ্যরাতে গ্যাস লাইন লিকেজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফলে হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই আতঙ্ক পার্শ্ববর্তী ফয়জুন্নেছা হলেও ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে হলের সাধারণ সভায় বিষয়টি জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এ ব্যাপারে দরকারি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভয়ের কিছু নেই।

জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে গ্যাসের তীব্র গন্ধে আগুনের আতংক ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এসময় তারা হল থেকে থেকে বেরিয়ে চলে আসলে পরবর্তীতে গ্যাসের মূল সংযোগ বন্ধ করে দিলে তারা হলে প্রবেশ করে। পরদিন শনিবার বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কর্মীরা এসে নিরীক্ষা করে সংযোগ ফুটোর কোনো চিহ্ন খুঁজে পায়নি। এরপর গতরাত সাড়ে ১১টায় আবারও হলে গ্যাসের গন্ধ পেয়ে আতংকে হল থেকে বেরিয়ে যায় তারা। এদিনও মূল সংযোগ বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের হলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রাত ১২ টায় হলে প্রবেশ করে গ্যাসের গন্ধ পেয়ে আবারও আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসে তারা।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সুমাইয়া শিমু বলেন, কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও তারা কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে আমাদের জীবনকে হুমকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যেকোনো সময় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। হল প্রশাসন কি এর দায়ভার নেবে?

শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমান বলেন, শনিবার বাখরাবাদ গ্যাসের কর্মীরা এসে চেক করে গেছে। তারা কোনো ধরনের সমস্যা খুঁজে পায়নি। আজ এসে প্রতিটি জয়েন্ট চেক করবে তারা। আপাতত মূল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।