জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জবি) একমাত্র ছাত্রীহল ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’। এই হলের ক্যান্টিনের খাবারে তেলাপোকা পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ক্যান্টিনে খাবার খেতে গেলে খিচুড়ির মধ্যে তেলাপোকা দেখতে পায় হলের রুহিনা রুহি নামে এক আবাসিক শিক্ষার্থী। রুহি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী। এ সময় তার পাশে বসে খাবার খাওয়া অনেক শিক্ষার্থীই খাবারের মধ্যে তেলাপোকা দেখতে পান। পরে খাবার নিয়ে দেখানো হলে নতুন করে খাবার দেয়া হলেও হলের ক্যান্টিনের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননি।

আবাসিক ছাত্রীদের অভিযোগ খাবারে শুধু তেলাপোকাই নয়, ক্যান্টিনের খাবারে প্রায়ই পোকা পাওয়া যায়। তেলাপোকা, মাছিসহ পোকা পাওয়ার বিষয়ে বারবার জানালেও দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিরা সেভাবে গুরুত্ব দেন না। খিচুড়ির মধ্যে তেলাপোকা দেখতে পেয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী ফেসবুক পোস্ট দিলে ক্যান্টিনের খাবারসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগের ঝড় উঠে।

হলের আবাসিক ছাত্রী সুমা জানান, ‘আমিও কয়েকবার খাবারের মধ্যে মাছি পেয়েছি। বারবার একই ঘটনা ঘটছে। দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের বললেও তারা আমলে নিচ্ছে না।’

সমাপ্তি নামের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হলে পানির সমস্যা, গ্যাস নাই, কিচেন নোংরা৷ এখন আবার তেলাপোকা ভর্তাও খেতে হচ্ছে। অভিযোগ জানালেও কোনো কাজে আসছে না। তারা কোনো গ্রাহ্যই করছে না।’

ক্যান্টিন ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘রান্নাঘরের উপরে টিনের ছাউনি আছে। সেখানে অনেক ময়লা থাকায় পোকামাকড় আসতে পারে। অনেকদিন ধরে ময়লা সরানো হচ্ছে না, তেলাপোকা তো আসবেই! অনেক সময় ছাত্রীরাও উপর থেকে ময়লা ফেললে ক্যান্টিনের খাবারের ঘরে এসে পড়ে। এসব থেকে তেলাপোকা আসে।’

জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম এবিষয়ে অবগত হয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি হলের ক্যান্টিন কমিটির সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিবো। হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন হাউজ টিউটর ছুটিতে থাকায় একটু সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’

গ্যাস সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা প্রধান প্রকৌশলী এবং বাপেক্স বরাবর চিঠি প্রদান করেছি। উপাচার্যের সঙ্গেও বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত এটার সমাধান হবে।’

পিডিএস/এএমকে