কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

  ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

৩ যোগ্য প্রার্থী ডিঙিয়ে কুবিতে শিক্ষক নিয়োগে বিতর্ক 

ছবি : সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের তিনজন যোগ্য প্রার্থীকে ডিঙিয়ে এমন প্রার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হল, যা নিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষোভ ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। আবু ওবায়দা রাহিদ নামে একজনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন। এ ব্যাপারে এক বোর্ড সদস্য আপত্তি জানালেও আমলে নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। রবিবার (২৯ জানুয়ারি) তার মৌখিক পরীক্ষা হয়েছে।

অভিযোগ আছে, আবু ওবায়দা রাহিদকে নিয়োগ দিতেই তার যা যা যোগ্যতা আছে, সেগুলো উল্ল্যেখ করে বাড়তি একটি অনুবিধি যোগ করে অভিনব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। তার স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ফলাফল যথাক্রমে ৩ দশমিক ৫৬ এবং ৩ দশমিক ৫৪। কুবির শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী উভয় ফলাফল ন্যূনতম ৩ দশমিক ৭০ হতে হবে বলে উল্লেখ রয়েছে।

একই মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী অপর তিনজন প্রার্থী রাবেয়া জান্নাত, গৌতম সাহা ও জাহিদুল ইসলাম পাটোয়ারী। তাদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ফল ছিল যথাক্রমে ৩ দশমিক ৯৩ ও ৯৫, ৩ দশমিক ৭৭ ও ৮৮, এবং ৩ দশমিক ৭৭ ও ৯০।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অধ্যাপক বলেন, উপাচার্য সর্বদা নীতির কথা বলে নিজেই অনৈতিক কাজ করে আসছেন। নিজের জায়গায় সৎ হলে অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী রেখে আর কাউকে তিনি নিয়োগ দিতেন না।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, ‘তার নিয়োগ হয়েছে কি না- আমি জানি না। যদি হয়ে থাকে, তাহলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হওয়ার বিষয়টি সকলের কাছে প্রতিভাত হয়ে যাবে।

এদিকে রাহিদকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে বোর্ডেই এক সদস্য আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি গোপনীয় বলে মন্তব্য করতে রাজি হননি বোর্ড সদস্যরা।

এসব বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল ও ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
তিন যোগ্য প্রার্থী,কুবিতে শিক্ষক নিয়োগ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close