জাবি প্রতিনিধি
জাবিতে অস্থায়ী কর্মচারীদের অনশন
চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে অনশন করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দৈনিক মজুরিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মচারীরা। সোমবার সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা এই অনশন শুরু করেন। ৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অনশন চলছিল।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম ভবনটিতে প্রবেশের সময় কর্মচারীদের সাথে বলছেন। এ সময় উপাচার্য কাজে ফিরতে আহ্বান জানালে কর্মচারীরা দাবি মেনে নেওয়ার অনুরোধ করেন।
শেখ হাসিনা হলের ক্লিনার রিতা আক্তার প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, আমার স্বামী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের গার্ড হিসেবে কর্মরত অবস্থায় ২০১৪ সালে মারা গেছেন। আমার দুটি শিশুসন্তান আছে। আমি পেনশন বলতে কিছুই পাই নাই। আমার মরার অবস্থা। এখন প্রশাসন যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয়, আমার এইখানে মরতে হবে।
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সুইপার শ্রীমতী শুকরিয়া বলেন, যারা নিয়োগ দিয়েছে নিয়োগের সময় বলেছে, এখন পদ নাই তাই আপনাদের দৈনিক হাজিরায় নেওয়া হচ্ছে, যখন পদ সৃষ্টি হবে তখন স্থায়ী করা হবে। এখন নতুন হলে সার্কুলার হয়েছে। অথচ আমাদের বলা হয়েছে পদ নাই। পদ থাকা সত্ত্বেও আমাদের কেন দেওয়া হবে না? আমরা কেন এতদিন ধরে অবহেলিত হব?
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন যেখানে আছি সেখান থেকে বাদ দিচ্ছে না, কিন্তু স্থায়ী না হলে বাদ দেওয়ার আশঙ্কা আছে।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক বিষয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন ধরেননি।