মো. আব্দুল্লাহ, শেকৃবি

  ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২

স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের খাবার চলে যায় হলের বাইরে

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত খাবার পাঠানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক, বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্য। পাশাপাশি বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রনেতা ও কর্মীদের।

স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থী, হলসংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উন্নত মানের খাবার (ফিস্ট) পরিবেশনের আয়োজন করা হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষ জনপ্রতি অর্থ বরাদ্দ দেয়, পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও সামান্য ফি নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত খাবার বাইরে পাঠানোর ফলে প্রতিবছরই কমছে খাবারের মান। শুক্রবার বিজয় দিবসে খাবারের মান আরও কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত স্বাধীনতা দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলের শিক্ষার্থী, প্রভোস্ট, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য জনপ্রতি ৩৭৫ টাকা হারে অর্থ বরাদ্দ দেয় সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কুপন ফি বাবদ নেওয়া হয় ৫০ টাকা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কুপন ফি বাবদ টাকা নেওয়া হলেও হল কর্তৃপক্ষ শাখা ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মীর জন্য বিনামূল্যে এই কুপন সরবরাহ করে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিটি হলে ছাত্রনেতা ও কর্মীদের জন্য বিনামূল্যে ১৫০-২০০টি কুপন সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া প্রতি হলেই বিক্রি হওয়া কুপনের চেয়ে ২৫০-৪০০ প্যাকেট খাবার বেশি করা হয়। অতিরিক্ত এই খাবারের প্যাকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক, প্রশাসনিক পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক, সাবেক হল প্রভোস্টসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসায় পাঠানো হয়। এছাড়াও চলতি বছর স্বাধীনতা দিবসে আয়োজিত খাবার থেকে ডিম, সবজি, মুগডাল ও কমলা বাদ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আগেরবার খাবারে কিছু আইটেম কম দেওয়া হয়েছে। তবে আসছে বিজয় দিবসে আইটেম বাড়ানোর চেষ্টা করব। বাড়তি প্যাকেট করার ব্যাপারে অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, রীতি অনুযায়ী হলের সাবেক প্রভোস্ট, অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হলে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানো হয়। আমরা সেটা করতে পারি না, তাই তাঁদের জন্য খাবার পৌঁছে দেই।

তবে ছাত্রনেতা ও কর্মীদের বিনামূল্যে টোকেন ও খাবার সরবরাহের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
শেকৃবি,ফিস্ট,হল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close