অনিরুদ্ধ বিশ্বাস, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
অপরাজিতা হলের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
১১ দফা দাবি মেনে নিলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজিতা হলের শিক্ষার্থীরা বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি জব্দ এবং শিক্ষার্থীকে শোকজের প্রতিবাদসহ মোট ১১ দফা দাবিকে সামনে রেখে মঙ্গলবার রাত ১০টায় ওই হলের গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে বঙ্গমাতা ও অন্যান্য ছাত্র হলের শিক্ষার্থীরাও এসে তাদের সাথে যোগ দেন।
রাত ২টার দিকে শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবিতে প্রশাসন স্বাক্ষর করে সকল দাবি মেনে নিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যান।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রাত ১১টা ৪০ এ প্রভোস্ট বডি ঘটনাস্থলে আসে। আলোচনা শেষে মেনে নেওয়া ১১ দফা দাবি পড়ে শোনান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সালমা বেগম। এরপর রাত ২টা ৮ মিনিটের দিকে ছাত্রীরা ক্যাম্পাসের হাদী চত্বরে ছেড়ে হলে ফিরে যান। ছাত্রীরা হলে ফিরে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন অপরাজিতা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রহিমা নুসরাত রিম্মি।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতো। আমরা চাই না, তাদের কোনো কষ্ট হোক। তাদের সবগুলো দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। তারা যে সমস্যাগুলোর কথা বলেছে, সেগুলোও আমরা সমাধান করছি এবং চেষ্টা অব্যাহত আছে।’
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবিগুলো ছিল রাইস কুকার ও রান্নার সরঞ্জামাদি ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে, সেক্সুয়াল হ্যারাজমেন্টের প্রতিবাদে সোস্যাল মিডিয়ায় কথা বলার কারণে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও পারিবারিক শিক্ষা তুলে কথা বলায় ক্ষমা চাইতে হবে, হলে প্রয়োজনে অভিভাবক ও মহিলা আত্মীয়দের থাকার অনুমতি প্রদান করতে হবে, পানিতে পোকা ও খাবারের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে, প্রাধ্যক্ষকে তার নিজ ডিসিপ্লিনের স্টুডেন্টদেরকে ডেকে ব্যক্তিগত এবং একাডেমিক বিষয়ে হয়রানি বন্ধ করতে হবে ও ক্ষমা চাইতে হবে, হলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, যে কোনো পরিস্থিতিতে সিট বাতিলের হুমকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে, যে কোনো পরিস্থিতিতে হলের ছাত্রীদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে, আজকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগতভাবে হুমকি দেওয়া যাবে না এবং উপরোক্ত দাবিগুলো না মানলে প্রভোস্ট বডিকে পদত্যাগ করতে হবে।