ইরফান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুবি’র শিক্ষার্থীকে মারধর, অটোচালক আটক
অটোচালকের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অর্থনীতি বিভাগের ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্বাস উদ্দীন। রবিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১২টায় টিউশন শেষে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে কোটবাড়ি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মাঈন উদ্দিন নামের এক অটো চালককে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোটবাড়ি পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন। এদিকে এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা যায়, রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে অটোরিকশা পরিবর্তন করাকে কেন্দ্র করে পলিটেকনিক্যাল কলেজ সংলগ্ন কোটবাড়ি অটোস্ট্যান্ডে চালকদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আব্বাস উদ্দিনের। এক পর্যায়ে আব্বাস উদ্দিনকে মারধর করে মাঈন উদ্দিন ও রবিউল নামের দুই অটো চালক। এসময় চাবি দিয়ে তার শরীরের আঘাত করে এবং কিল ঘুষি দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। পরে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে মারধরের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে এবং বেপরোয়া অটোচালকদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোটবাড়ি এলাকায় গাড়ি থামিয়ে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে সরে যান শিক্ষার্থীরা।
ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আব্বাস উদ্দিন বলেন, আমার ক্লাসের দেরি হয়ে যাওয়ায় আমি তার অটো পরিবর্তন করে অন্য একটা অটোতে উঠি। তখন সে আমার সাথে বাজে ব্যবহার করলে আমি প্রতিবাদ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা চাবি দিয়ে আমাকে আঘাত করে। এছাড়া কিল ঘুষি দেয়। এখন আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। ডাক্তার পর্যবেক্ষণে থাকতে বলেছেন। আমি মাথায় আঘাত পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি ইতিমধ্যে প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছি।
এ বিষয়ে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন জানান, আমরা মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাঈন উদ্দিন নামের একজন অটো চালককে আটক করি। অভিযুক্ত আরেকজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা ঘটনা জানার সাথে সাথে প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রশাসনও উপস্থিত ছিল। পুলিশ অটোরিকশা চালক মাঈন উদ্দিনকে আটক করেছে। পাশাপাশি রবিউলকে ধরার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।