রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষকদের আবাসিক কোয়ার্টারে এক শিক্ষকের ফ্ল্যাট থেকে সোনার গয়না ও নগদ টাকাসহ চুরির অভিযোগ ওঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১২ মে) বেলা ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পাড়ার শিক্ষকদের থাকার আবাসিক কোয়ার্টারে ডব্লিউ-৯/এফ নম্বর বাড়িতে চুরি হয়।

চুরি হওয়া ফ্লাটে থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদা আক্তার ও তার স্বামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন ভুঁইয়া।

মাহমুদা আক্তার বলেন, ঈদের ছুটি থাকায় আমরা এখনো বাড়িতেই অবস্থান করছি। এই সুযোগে বাসার দরজা ভেঙে চোরেরা বাসায় ঢুকে সোনার গয়না, আংটি, গোল্ড মেডেল ও প্রায় ২০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় দুই থেকে তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

চুরির ঘটনা সম্পর্কে তাকে জানানো হলে শুক্রবার (১৩ মে) ওই শিক্ষকের স্বামী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন ভুঁইয়া কোয়ার্টারে আসেন৷

আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি গতকাল জানতে পেরে আমি ফ্ল্যাটে ফিরে দেখি দরজায় তালা ভাঙা। বাসায় একটি আলমারি ছিল, সেটার তালাও ভাঙা ছিল। পুরো ঘর এলোমেলো হয়ে আছে। ভাবলাম হয়তো চোরেরা পাশের ইউনিটের সব নিয়ে গেছে। কিন্তু পরে দেখি আমাদের ফোন, ল্যাপটপসহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ছাড়া সোনার অলঙ্কার ও টাকাগুলো নিয়ে গেছে। পুলিশকে জানানো হলে তারা আজ এসে দেখে গেছেন।

মামলা করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত মতিহার থানায় আজ মামলা করা হয়েছে।

নিরাপত্তার অভাবকে দায়ী করে তার প্রতিবেশী শিক্ষকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে দিনে-দুপুরে এভাবে চুরি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হয়েও আমাদের দুঃশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। আবাসিক শিক্ষকদের কোয়ার্টারের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান তারা।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘চুরির খবর পেয়ে আমরা তৎক্ষণাৎ সেখানে যাই। তখন তারা কেউ বাসায় ছিল না ৷ বাসা ফাঁকা পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে সোনা ও ক্যাশ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। আগে থেকে পরিকল্পনা করেই শিক্ষককের বাসায় চুরিটি করা হয়েছে। এসময় অন্য ফ্ল্যাটে যারা ছিলেন, তাদের বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়, যাতে তারা বের হতে না পারে৷

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তুহিন বলেন, ‘এ ঘটনার ব্যাপারে কিছুক্ষণ আগে মামলা করা হয়েছে। আসামিদেরকে শনাক্ত করার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি বলে তিনি জানান।