মো. আশিকুর রহমান শুভ, ঢাবি প্রতিনিধি
মেলায় বেড়েছে বই বিক্রি, কমেছে স্বাস্থ্যবিধি
অন্য যেকোন বছরের তুলনায় এবারের বইমেলায় শুরু থেকেই পাঠকদের আনাগোনা ছিলো চোখে পড়ার মতো। এদিকে মেলার দিন যতই গড়াছে ভাটা পড়েছে স্বাস্থ্যবিধিতে, তবে বিক্রি বাড়ায় খুশি প্রকাশকরা।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নবম দিনে মেলা শুরু হয় দুপুর ২টা থেকে চলে রাত ৯টা পযন্ত।
রেজমিনে মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে দেখা যায়, ছুটির দিনের তুলনায় লোক সমাগম কিছুটা কম হলেও বিকালের দিকে তা ক্রমান্ময়ে বাড়তে থাকে। লোকসমাগম বেশি হওয়ায় বিক্রি ভাল হচ্ছে বলে জানান প্রকাশক ও বিক্রয় কর্মীরা।
জিনিয়াস পাবলিকেশন্সের স্বত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান বলেন, গত দু’বছরের তুলনায় এবার প্রথম দিন থেকেই বিক্রি ভালো। যত দিন যাচ্ছে বিক্রি বাড়ছে। মেলার সময় বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন; যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও বাড়ানোর ঘোষণা দেননি। আমরা আশা করছি, তিনি সময় বাড়াবেন এবং আগের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।
প্রথমা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী ইমাম হোসেন বলেন, মেলার শুরুর দিন থেকেই ক্রমান্বয়ে বিক্রি ও পাঠক সমাগম বাড়ছে। বিক্রি ভালো হচ্ছে। আমরা আশাবাদী, মেলার যত সময় গড়াবে, বিক্রি তত বাড়বে। সব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। স্কুল-কলেজ খুলে দিলে মেলায় পাঠকদের আরও উপচে পড়া ভিড় দেখতে পাবো। সঙ্গে বিক্রিও বাড়বে।
অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধি মানায় অনীহা দেখা যায় ক্রেতা-দর্শনার্থী ও বিক্রয় কর্মীদের মাঝেও। মেলা প্রবেশের সময় সবার মুখে মাস্ক থাকলেও ভেতরে প্রবেশের পর অনেকেই মাস্ক খুলে নিচ্ছেন হাতে, পকেটে, থুঁতনিতে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে বইমেলা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছিল, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশ নিতে হবে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের এবং বিক্রয় কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, টিকা সনদ সাথে রাখতে হবে।
এ বিষয়ে বইমেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, আমরা শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি, প্রধানমন্ত্রীও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা চেষ্টা করছি। দর্শনার্থীদেরও এ ব্যাপারে সাবধাণতা অবলম্বন করতে হবে।
বাংলা একাডেমি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বইমেলায় নতুন বই এসেছে ১২২টি।
এদিকে, বিকাল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর : বঙ্গবন্ধু-চর্চা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আসলাম সানী, মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক এবং মামুন সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ।