ইবি প্রতিনিধি

  ১৩ জানুয়ারি, ২০২২

হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় শিক্ষার্থীকে পেটানোর হুমকি

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে রড বের করে পেটানোর হুমকি দিয়েছে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে চলাচলরত গড়াই পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার। বুধবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

পরে রাতে গাড়িটি ক্যাম্পাসের সামনে দিয়ে গেলে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা একে আটক করে এর গ্লাস ভাঙচুর ও চালককে মারধর করেন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং আহত চালককে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাফওয়ান ইসলাম জানান, গতকাল সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য চৌড়হাস মোড়ে দাঁড়ান। এসময় 'শাহাজাদী পরিবহন' (গাড়ী নং: ঢাকা মেট্রো-১১-৫১০৬) নামে গড়াই কোম্পানির একটি বাসে ওঠার আগে তিনি কাউন্টারে টিকেট কাটতে যান। এসময় হাফ ভাড়া দিতে চাইলে কাউন্টার ম্যানেজার মোখতার তাকে গালিগালাজ করেন। এরপর তিনি প্রতিবাদ করলে তাকে রড দিয়ে পেটাতে আসেন তিনি। তখন তিনি সম্পূর্ণ ভাড়া দিয়ে টিকেট কেটে বাসে ওঠে।

পরে বাসে থাকা অবস্থায় এ ঘটনা তার সহপাঠী ও বন্ধুদের জানালে তারা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে জড়ো হতে থাকেন। এরপর প্রধান ফটক এলাকায় পৌঁছালে বাসটি আটক করেন তারা। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাসের দুটি গ্লাস ভাঙচুর ও চালককে মারধর করেন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল বডির কাছে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ রুটে হাফ ভাড়া নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। পরে আহত বাস চালককে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর প্রক্টরিয়াল বডি ও শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে নিয়ে মেডিকেল সেন্টারে যান। সেখানে গাড়ির চালক শরিফুল ইসলামের (৪৫) সঙ্গে বসেন।

এসময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে গাড়িচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, কাউন্টার ম্যানেজারের সঙ্গে টিকিট কাটার সময় ঝামেলা হলে আমি ম্যানেজারকে বলি হাফ ভাড়া রেখে দিতে। ছাত্রের পক্ষ নেয়ায় ম্যানেজার আমাকে পেটাবে বলে হুমকি দেয়। কাউন্টার ম্যানেজাররা আমাদের গাড়ি সংশ্লিষ্ট কেউ না। শিক্ষার্থীরা আমাকে মেরে ফেললেও এ বিষয়টি নিয়ে আমার কিছু করার ছিল না।

এ বিষয়ে শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, 'শোনামাত্রই আমি ঘটনাস্থলে যাই। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে আটক বাসটিকে ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।' হাফ ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে দুই জেলার বাস মালিক সমিতির সঙ্গে যেন একটা সমন্বয় করা যায়, সেটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানাবো।'

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়,শিক্ষার্থী,গড়াই পরিবহন,ভাঙচুর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close