এ আর রাশেদ, ইবি প্রতিনিধি

  ২২ নভেম্বর, ২০২১

গৌরবের ৪৩ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

আজ ২২ নভেম্বর, ৪৩তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। ১৯৭৯ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে স্বাধীনতাত্তোর প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামীবিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮৩ সালে এক আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে গাজীপুর বোর্ড বাজারে স্থানান্তর করা হয়।

পরে ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর মূল ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কাজ শুরু হয়। ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে দুটি অনুষদের অধীনে চারটি বিভাগে ৩ শত ছাত্র ভর্তির মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক যাত্রা। ১৯৮৬ সালের ২৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়।

বর্তমানে ৮টি অনুষদের অধীনে ৩৪টি বিভাগে ১৫ হাজার ৩৮৪ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। যাদের মধ্যে ছাত্র ১০ হাজার ২৯১ এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৯৩ জন। ৩৯০ জন শিক্ষক শিক্ষাদানে নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া ৪৬৮ জন কর্মকর্তা, ১৫২ জন সহায়ক কর্মচারী এবং ১৭১ জন সাধারণ কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রেখে চলেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টি এ পর্যন্ত ৫১৪ জনকে পিএইচ.ডি এবং ৬৯৬ জনকে এম.ফিল ডিগ্রি প্রদান করেছে। বর্তমানে ২৯০ জন পিএইচ.ডি এবং ২১৯ জন এম.ফিল গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন। সম্প্রতি অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্সে প্রকাশিত বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১৭ শিক্ষক স্থান পেয়েছেন।

এ পর্যন্ত বিশ^বিদ্যালয়ে মোট ৪টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম সমাবর্তন ২৭ এপ্রিল ১৯৯৩ সালে, দ্বিতীয় সমাবর্তন ৫ ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে, তৃতীয় সমাবর্তন ২৮ মার্চ ২০০২ সালে এবং ৪র্থ ও সর্বশেষ সমাবর্তন ৭ জানুয়ারি ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে ৪৩তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিবসটি উদযাপন করছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় পতাকা ও বিশ^বিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। একই সময়ে প্রভোস্টগণ স্ব-স্ব হলে জাতীয় পতাকা ও হল পতাকা উত্তোলন করেন।

পতাকা উত্তোলন শেষে শান্তির প্রতীক পায়রা ও আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে উপাচার্যের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়। র‌্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাংলামঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে ৪৩তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কেক কাটা হয়।

এরপর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে বাংলামঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। পরে বাদ যোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
গৌররের ৪৩ বছর,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close