খুবি প্রতিনিধি
সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে খুবিতে মানববন্ধন
সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ভিন্ন ভিন্ন স্থানে মানববন্ধন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (কুটা) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় হাদি চত্বরে কুটার ব্যানারে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা এ মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, নগরীতে যখন আগুন লাগে তখন কোন ধর্মের কোন ঘর আগুন সেটা বেছে পুড়িয়ে দেয় না। সাম্প্রদায়িকতা একটি অপশক্তি।
বক্তারা আহ্বান জানান, বাংলাদেশের সবাই এক বাঙালি জাতি হতে হবে। সকলে মিলে অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।
মানববন্ধনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো এই উন্নয়ন সহ্য করতে পারছে না। আমি আশা করছি, সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলোর দ্রুত বিচার হবে।’
এছাড়াও মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, কুটার সভাপতি ড. ওয়ালিউল হাসানাত, চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর মনিরুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশিষ কুমার দাশ, ইংরেজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর সাবিহা হক ও ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক এনামুল হক হীরাসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কুটার সাধারণ সম্পাদক ড. তানজিল সওগাত।
এদিকে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আলাদা একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী এ মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আজকে আমাদের সকলের চেতনাজুড়ে লজ্জা মিশিয়ে দিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা, আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসজুড়ে যেন এখন শুধু ভয়। আমাদের ইতিহাস তো ভয় বা লজ্জায় কুঁকড়ে যাওয়ার ইতিহাস নয়। আমাদের ইতিহাস তো প্রতিবাদের ইতিহাস। আমরা এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আানার দাবি জানাচ্ছি।
ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী, ইমামুল ইসলাম সোহান বলেন, ‘আজকে আমরা এখানে বিগত কয়েকদিনে সারাদেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতার প্রতিবাদ করতে দাড়িয়েছি। বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, আস্তিক-নাস্তিক সবাই বসবাস করবে, এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। যারা এরকম সহিংসতার সাথে জড়িত, যারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বা আফগানিস্তান বানাতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদের এই প্রতিবাদ। আমরা দ্রুতসময়ে এই সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার চাই।’