জাবি প্রতিনিধি
ফিরছে পুরোনো রূপ
পাঠক-শিক্ষার্থী নিয়ে জমজমাট জাবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বন্ধ থাকার পর আবাসিক হলের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারও খুলে দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর আবারও পুরোনো চেহারায় ফিরতে শুরু করেছে গ্রন্থাগারটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার ভরদুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের পার্শ্ববর্তী গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছেন পড়তে আসা কয়েক শিক্ষার্থী। একটু এগিয়ে গ্রন্থাগারের ভেতরে যেতেই চোখে পড়লো- নিচ তলায় নির্ধারিত ডেস্কে ব্যাগ রেখে ভেতরে ঢুকছেন একজন। অভ্যন্তরীণ ফটকের পাশে টাঙানো রয়েছে মাস্ক পরে প্রবেশের নির্দেশনা সম্বলিত ব্যানার। তবে নিচ তলার কোথাও শিক্ষার্থীদের পড়ার সাজানো চেয়ার-টেবিল নেই। ফলে আগের মত সেখানে কোনো শিক্ষার্থীকে পড়তে দেখা যায়নি। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় গিয়ে দেখা মিলল চিরাচরিত দৃশ্য- পিনপতন নীরবতা। সেখানে অধ্যয়ন করছেন স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী।
গ্রন্থাগার সূত্রে জানা গেছে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে পড়ার পরিবেশ তৈরি করতে গ্রন্থাগারের আসন সংখ্যা কমিয়ে ২০০টি করা হয়েছে। একারণে নিচ তলায় কোনো আসন রাখা হয়নি।
গ্রন্থাগারের কর্মচারীরা জানালেন, সাময়িকভাবে গ্রন্থাগারের সূচিতে পরিবর্তন এনে সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত করা হয়েছে। যদিও ২১ অক্টোবর থেকে পুরাতন সময়সূচী অনুযায়ী গ্রন্থাগার খোলা থাকবে। এছাড়া এখন থেকে শুধুমাত্র নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই গ্রন্থাগারে পড়তে পারবেন। এ লক্ষ্যে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল কার্ড সরবরাহ করছে। এ কার্ড ব্যবহার করেই শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগারে প্রবেশ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ হানিফ আলী বলেন, পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এজন্য সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে আসন কমানো হয়েছে। পরিস্থিতি যতদিন স্বাভাবিক না হয় এভাবেই চলবে। আর শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার বার্তা থাকবে তারা যেন লাইব্রেরিতে পড়ার সময় অন্তত মাস্ক ব্যবহার করে।