কুবি প্রতিনিধি

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ছাত্রীদের ‘মানসিক হেনস্তা’ করেন মেস মালিক

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) সংলগ্ন একটি মেস মালিকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত মেস মালিক মো. আবদুল লতিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক।

এ নিয়ে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নিকট অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রীদের বিভিন্ন সময়ে মেস মালিক ও তার স্ত্রী কুরুচিপূর্ণ কথা বলে থাকেন এবং কোন কারণ ছাড়াই ছাত্রীদের অপমান করে মেস থেকে বের করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

মেসের কয়েকজন ছাত্রী বলেন, মেসে কোন ছাত্রী ভালোভাবে থাকার সুযোগ পান না। ভাড়া দিয়ে থেকেও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে। প্রতিদিন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ছাড়াও মেস ছাড়ার হুমকি দেন তার স্ত্রী। এ বিষয়ে প্রকৌশলীকে বারবার বলার পরও কোন মুক্তি মেলেনি। বরং প্রকৌশলী উল্টো চাপ প্রয়োগ করেন আমাদের উপর। পরীক্ষার সময়ে বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করে দেওয়া,পানির ব্যবস্হা বন্ধ করাসহ বিভিন্ন সময়ে অশোভন আচরণ করেন। এমন মানসিক হেনস্তার ফলে কিছুদিন থাকার পর মেস ত্যাগ করতে বাধ্য হয় ছাত্রীদের। কিন্তু ক্যাম্পাসের আশেপাশে মেস সংকট থাকায় বাধ্য হয়ে হেনস্তার পরও ছাত্রীদের এই মেসে থাকতে হচ্ছে।

অভিযোগপত্রে মানসিক হেনস্তার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীরা লিখেন,আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত ছাত্রীবৃন্দ। আমরা প্রত্যেকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার বাড়ি মেস থেকে পড়াশুনা করছি। করোনাকালীন সময়ে পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এখানে অবস্হান করছি। উক্ত মেসের মালিক মো. আব্দুল লতিফ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ও তার স্ত্রী কর্তৃক আমরা মানসিকভাবে হেনস্তার শিকার। তিনি এবং তার স্ত্রী সামান্য কারণে আমাদের পরিবার এবং চরিত্র নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। যা আমাদের জন্য মানহানিকর। যারফলে আমাদের পড়াশুনার ব্যাঘাত ঘটে এবং মানসিকভাবে আমরা বিপর্যস্ত। পূর্বে এসব বিষয়ে বাড়ির মালিককে একাধিকবার অবগত করার পরেও আমরা কোন কার্যকর সমাধান পাইনি। অতএব মহোদয়ের নিকট বিনীত প্রার্থনা এই যে, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এরকম মানসিক হেনস্তার উপযুক্ত বিচার চাই।

এ বিষয়ে মেস মালিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল লতিফ বলেন, মেয়েরা অযথা বিদ্যুৎ অপচয় করে বলে মাঝে মাঝে এ নিয়ে কথা হয়। অসময়ে ফ্যান চালিয়ে রাখা,পানির অপচয় করার ফলে আমার স্ত্রীর সাথে হয়ত তাদের কোন বাজে আচরণ হতে পারে। আমি এ ব্যাপার নিয়ে মেয়েদের সাথে কথা বলবো।

এবিষয়ে প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, বিষয়টি উপাচার্য মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে।

স্থানীয় কমিশনার ফজল খান বলেন, এরকম ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। শিক্ষার্থীরা টাকা দিয়ে থাকে, তাদের সাথে এরকম আচরণ করবে কেন? আমি এ ব্যাপারে লতিফকে ডেকে কথা বলব।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মেস মালিক,মানসিক হেনস্তা,ছাত্রী,কুবি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close