ইসমাইল রিফাত, বেরোবি

  ২৪ জানুয়ারি, ২০২১

বেরোবিতে দোকানীদের দুর্ভোগ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

আইন শৃঙ্খলার স্বার্থে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেট সংলগ্ন পার্কের মোড়ের দোকান বন্ধ করে তাজহাট থানা পুলিশ। গত ১ মাস যাবত দোকান বন্ধে চরম দুর্ভোগে পড়েছে দোকানীরা।

শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন আবাসিক মেসে অবস্থান করার ফলে ২নং গেট সংলগ্ন দোকানগুলোতে খাওয়া দাওয়াসহ যাবতীয় কাজকর্ম এ স্থান ঘিরেই হয়ে থাকে। ফলে পুলিশের এ সিদ্ধান্তে ভোগান্তিতে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর নগরীর ২৮নং ওয়ার্ডের আশরতপুর ঈদগাপাড়ায় নাজমুল ইসলাম (৩০) নামে এক প্রতিবন্ধী রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলী ও তার স্ত্রী সাথী বেগমের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা পার্কের মোড়ে সড়ক অবরোধ করলে দোকান বন্ধ করে দেয় পুলিশ। পার্কের মোড়ের দোকান বন্ধে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে ১৫ টিরও অধিক পরিবার।

এদিকে দোকানীরা জানায়, দোকান চালিয়ে দিন শেষে উপার্জিত টাকা থেকে সংসার চালাতে হয়। দোকান বন্ধ করে দেয়ায় সংসার চালাতে চরম বিপাকে পড়ছে তারা। করোনা দূর্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধে শিক্ষার্থীরা না থাকায় বেচা কেনা তেমন ছিল না। ধার-দেনা করে খুব কষ্টে সংসার চালাতে হয়েছে তাদের। এমতাবস্থায় দোকানগুলো বন্ধ করে দেয়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।

অন্যদিকে অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা চলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ থাকায় নির্ভর করতে হয় পার্কের মোড়ের দোকানগুলোতে। এখন দোকানগুলো বন্ধ করে দেয়ায় ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, সামান্য নাস্তা করতেও অনেক দূরে যেতে হয়। ঝুঁকি নিয়ে চলন্ত যানবাহনের সামনে দিয়ে রাস্তাপার হয়ে খেতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি না থাকায় বন্ধুদের সাথে যেকোন বিষয়ে আড্ডা-গল্প করতেও পার্কের মোড়ের এসব দোকানে বসা হয়। এখন দোকানগুলো বন্ধে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।

বেরোবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি তুষার কিবরিয়া বলেন, ক্যাম্পাসের ভিতরে কোন দোকান বা মার্কেট নেই। এই দোকানগুলো খুলে দিলে স্বল্প ব্যয়ে নাস্তা করতে পারে শিক্ষার্থীরা। আড্ডা দিতে পারে। দোকান চালিয়ে অসহায় মানুষগুলো সংসার চালায়। তাই শিক্ষার্থী ও দোকানীদের চিন্তা করে দ্রুততার সাথে যেন দোকান গুলো খুলে দেয়া হোক বলে জানান তিনি।

রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জামান প্রধান বলেন, দোকান উচ্ছেদ আইনে বলা আছে অবৈধ দোকান-পাট থাকবেনা, সরকারি জায়গায়। পুুলিশ যে কোন সময় যে কোন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার আইনে আছে, এখতিয়ারে আছে। কিন্তু বসতে বলার এখতিয়ার পুলিশের নাই। এটা যাদের জায়গা তারা বসার অনুমতি দিতে পারে বা লিজ দিতে পারে এখানে পুলিশের কিছু বলার সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বেরোবি,দুর্ভোগ,ভোগান্তি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close