খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
অনশনের ৪২ ঘণ্টা, গুরুতর অসুস্থ নোমান
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) অনশনরত দুইজন শিক্ষার্থীর মধ্যে মোবারক হোসেন নোমান গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে নিতে চাইলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের একজন চিকিৎসককে ডেকে আনলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে রাজি হয়েছেন।
জানা গেছে, খুবি শিক্ষার্থীদের ৫ দফা আন্দোলনের সময় দুই শিক্ষকের সাথে অসদাচরণ ও একাডেমিক কাজে বাধাদানের জেরে ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ইমামুম ইসলাম সোহান ও বাংলা ডিসিপ্লিনের মোবারক হোসেন নোমানকে যথাক্রমে ২ বছর (৪ টার্ম) ও ১ বছর (২ টার্ম) বহিষ্কারাদেশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এ সাজা প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার সন্ধ্যা থেকে তারা আমরণ অনশন শুরু করেছেন।
আরও জানা গেছে, এই একই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উস্কানি ও সহযোগিতার জেরে খুবির ৩ শিক্ষককে বহিষ্কারের উদ্দেশে কারণ দর্শানোর চূড়ান্ত নোটিশ পাঠানো হলে এই আন্দোলন ভিন্ন মাত্রা পায়।
এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে অনশনরত আরেক শিক্ষার্থী ইমামুল ইসলাম সোহান বলেন, আমি শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থবোধ করছি, হাঁটার মতো শক্তি নেই। কিন্তু নোমান অনেক বেশি অসুস্থ, তার হাত মুখ ফুলে গেছে। এমনকি, কথাও বলতে পারছে না।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চীফ মেডিকেল অফিসার কানিজ ফাতিমা জানান, ওই শিক্ষার্থীর ব্লাড সুগার অনেক নিচে নেমে গেছে। এখন থেকে সার্বক্ষণিক নিবিড় পর্যবেক্ষণ দরকার। সেই চিকিৎসা সেবা এখানে বসে দেওয়ার সুযোগ নেই, তাই তাকে এখনই হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন।
এদিকে, খুলনার সচেতন নাগরিক ও সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দের ব্যানারে আজ খুলনার শিববাড়ি মোড়ে মানববন্ধন হয়েছে। একই সাথে রাজশাহী ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধনের আহ্বান করা হয়েছে। এছাড়াও, সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করেন। কিন্তু এসব বিবৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে অশান্ত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপতৎপরতা বলে বিবর্তি দিয়ে খুলনা মহানগর ও জেলা শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।
পিডিএসও/হেলাল