বেরোবি প্রতিনিধি

  ১১ জানুয়ারি, ২০২১

বেরোবির খোরশেদের বিরুদ্ধে এবার শিক্ষকদের নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত তৃতীয় শ্রেণির সেই কর্মচারী পিএ-টু-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক খােরশেদ আলমের বিরুদ্ধে এবার শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিয়োগ উঠেছে।

এর আগে সেই কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক-শিক্ষার্থীদের পতিতা-কুলাঙ্গার, ছাত্র নামে অছাত্র এমন মানহানীকর-ভিত্তিহীন মন্তব্য করেন। দিনের পর দিন এই কর্মচারীর বেপরোয়া আচরণের তদন্তপূর্বক শাস্তি দাবি করছে বিভিন্ন মহল।

এদিকে খোরশেদের বিরুদ্ধে মানহানীর অভিযোগ এনে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৃহৎ সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ।

সংগঠনটির আহবায়ক ড. মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে বলা হয়- গত ৬ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে উপাচার্যের উপস্থিতি দাবিতে মাননীয় প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনার সাথে আমরা অধিকার সুরক্ষা পরিষদের সদস্যবৃন্দ সিন্ডিকেট রুমে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলাম। ওই দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োাগপ্রাপ্ত কর্মচারী পিএ-টু-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক খােরশেদ আলম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিত্তিহীন, মানহানিকর, অপমানজনক, মিথ্যা তথ্যনির্ভর ফেসবুক পোস্ট তার টাইমলাইনে প্রচার করে, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী অপরাধ।

ওই ফেসবুক পোস্ট কতিপয় শিক্ষক ও কর্মকর্তার প্রচারণা চালান যা উপাচার্যের টাইমলাইনেও দেখা যায়। এসব মিথ্যা প্রচারণা চালানো আইনগতভাবে অপরাধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত একজন কর্মচারীর এ ধরনের মানহানীকর কটুক্তিপূর্ণ অসদাচারণ আমাদের ব্যাপকভাবে আহত করেছে। খোরশেদ আলমের এসব মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর ফেসবুক পোস্টের বিষয়টি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য বলে মনে করছে অধিকার সুরক্ষা পরিষদ সংগঠনটি।

অভিযোগে আরো বলা হয়, তার লেখায় দেশব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে, শিক্ষক, কর্মকতা ও কর্মচারীদের সম্মানহানী ঘটেছে। শুধু তাই নয়, এই খােরশেদ আলম গত ২৫ জুলাই ২০২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক শিক্ষার্থীদের "হকার, চাটুকর, কুলাঙ্গার, ছাত্র নামের অছাত্র, তেলবাজ, স্বার্থান্বেষী, অসৎ, লোলুপ" প্রভৃতি অভিধায় আখ্যায়িত করে ফেসবুকে মানহানীকর প্রচারণা চালিয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের ঝাঁটাপেটা করে বিশ্ববিদ্যারয়ে থেকে বের করে দেয়ারও হুমকী দেন। অবেক্ষাধীন থাকা একজন কর্মচারীর এহেন আচরণ বারবার প্রকাশের পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। খোরশেদ আলম যোগদানের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত রয়েছেন। খোরশেদের বিরুদ্ধে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানায় অধিকার সুরক্ষা পরিষদ।

এই সময়ের মধ্যে খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে অধিকার সুরক্ষা পরিষদ খােরশেদ আলমসহ তার এ অপকর্মের নির্দেশদাতা, মদদদাতা ও প্রচারণাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হবে বলেও হুশিয়ারী উচ্চারণ করে সংগঠনটি।

এ বিষয়ে কর্মচারী খোরশেদ আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই ফোন কেটে দেন। পরে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
শিক্ষকদের নিয়ে,কটূক্তির অভিযোগ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close