চবি প্রতিনিধি
চবিতে ৩ দফা দাবি নিয়ে রেজিস্ট্রার দপ্তরে আইইআরের শিক্ষার্থীরা
জট নিরসনের জন্য তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (২০১৮-১৯) সেশনের শিক্ষার্থীরা। রোববার সকাল ১১টায় শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের একদল প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপিটি জমা দেয়।
জট নিরসনে তাদের দাবি তিনটি হলো-
১. অনলাইনে সেকেন্ড ইয়ারের ক্লাস শুরু করে দিয়ে কোর্স শেষ করা। করোনা গেলে ফার্স্ট ইয়ার দেওয়ার পর পরই সেকেন্ড ইয়ার ফাইনাল নেয়া।
২. স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাবস্থা করা অথবা অনলাইন এক্সামের ব্যাবস্থা করা।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, বিষয়টি খুবই সিরিয়াস। তাদের দাবি নিয়ে আমি উপাচার্য মহোদয়ের সাথে আলোচনা করবো। দ্রুতই একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি উত্থাপন করে সত্ত্বর এটি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
সেশনজট ও পরীক্ষায় দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়ে জানতে শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ৬ মাস বিলম্বিত হয়ে ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে ক্লাস শুরু হয় আইইআরের শিক্ষার্থীদের। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোর্স শেষ করলে ডিসেম্বরে পরীক্ষা নেয়ার আশ্বাসে এক বছরের কোর্স ৬ মাসে শেষ করেন তারা। কিন্তু ডিসেম্বরে আর তাদের পরীক্ষা নেয়া হয়নি।
আগের ব্যাচের ফলাফল বাকি আছে জানিয়ে পরীক্ষা জানুয়ারিতে নেয়া হবে বলা হয়। কিন্তু জানুয়ারিতেও তা হয়নি। অবশেষে মার্চের ২৫ তারিখ ১ম বর্ষ সমাপনীর তারিখ চূড়ান্ত হলে করোনার প্রভাবে ১৭ তারিখ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে ২ বছর পেরুলেও প্রথম বর্ষ শেষ করতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা।
অন্যান্য শিক্ষাবর্ষেও ১ থেকে ৩ বছরের জট রয়েছে। এতে করে শিক্ষাজীবন নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা ও মানসিক অস্বস্তিতে ভুগছে ইনস্টিটিউটের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী।
পিডিএসও/এসএম শামীম