খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) সংলগ্ন ইসলামনগর রোডের মেসমালিক চম্পার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ উঠেছে। গত একমাস ধরে মেসমালিকের কাছেই মেসের চাবি গচ্ছিত ছিল। শনিবার মেস থেকে ক্যামেরা, একাডেমিক কাগজসহ আরও বিভিন্ন জিনিস খোয়া গেছে বলে জানায় ওই মেসমালিক। অথচ, মেসের তালা অক্ষত, ঘরের ভেতরেও চুরির কোনো আলামত নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্ট মেকিং ডিসিপ্লিনের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আকিফ মাহমুদ এলভিন। শনিবার বিকেলে তার মেসমালিক চম্পা তাকে ফোন দিয়ে জানায় যে, মেসে চুরি হয়েছে। ভুক্তভোগী সরেজমিনে এসে দেখেন, ক্যামেরা (২টি), ট্রাইপড, মডেম, রাউটার, অনু, আসবাবপত্র, রাইসকুকার, ফ্যান, ল্যাপটপের কুলিং প্যাড ও সাউন্ড বক্স মেসে নেই। এবং ল্যাপটপ ও প্রিন্টার ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। পরবর্তীতে কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে ওই মেসমালিকের সাথে দেখা করতে গেলে তিনি চাপের মুখে ১টি ক্যামেরা, রাইসকুকার, সাউন্ড বক্স, ট্রাইপড ও কিছু আসবাবপত্র ফেরত দেন।

এই বিষয়ে আকিফ মাহমুদ এলভিন বলেন, ‘মেসমালিক চুরি হয়েছে বলে দাবি করলেও আমি মেসে কোনো চুরির আলামত পাইনি। এদিকে, আমার আনুমানিক ৭৫ হাজার টাকার মালামাল খোয়া গেছে।’

আরও জানা গেছে, গত একমাস ধরে মেসের তালার চাবি মেসমালিকের কাছেই রাখা ছিল। মেসে যেসব জিনিসপাতি পাওয়া যাচ্ছে না সেসব জিনিস নিতে হলে অন্তত জানালার গ্রিল ভাঙতে হবে অথবা, মেসের তালা ভেঙে নিতে হবে। অথচ, মেসে গ্রিল কিংবা তালা কোনটিই ভাঙা হয়নি। শিক্ষার্থীদের দাবি, মেসমালিকই সুযোগ বুঝে এইসব জিনিস সরিয়েছেন।

কেন চুরির কোনো আলামত নেই এই বিষয়ে ওই মেসমালিক চম্পাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ওই বাড়িতে থাকি না। তাই এই ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবোনা।’

এই বিষয়ে হরিণটানা থানার এস.আই সুজিত মিস্ত্রি বলেন, ‘ঘটনাস্থল প্রাথমিকভাবে পরিদর্শনের পরে ঘটনাটি আমাদের কাছে চুরির ঘটনা বলে মনে হয়নি। ভুক্তভোগীর তরফ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলেই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’