বেরোবি প্রতিনিধি

  ২৭ জুলাই, ২০২০

বেরোবি শিক্ষার্থীদের ‘পতিতা-হকার’ বললো কর্মচারী, নীরব প্রশাসন

বেরোবির কর্মচারী খোরশেদ আলম

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী খোরশেদ আলম তার ফেসবুক আইডিতে সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘পতিতা, চাটুকার, কুলাঙ্গার, হকার’ বলে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। এতে শিক্ষার্থীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছে। সামাজিক মাধ্যমে সেই কর্মচারীর স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

দেখা গেছে, খোরশেদ আলম দেশের সিনিয়র সাংবাদিকদের নিয়েও এরকম অশালীন ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেছেন। যার মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশবাসীর কাছে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এদিকে সেই কর্মচারী আপত্তিকর, মানহানিকর মন্তব্য করায় বেবোবি সাংবাদিক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে অভিযোগ দেওয়ার পরও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী বায়েজিদ আহমেদ বলেন, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শিক্ষা ও গবেষণা সহায়ক। যেখানে শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের যথাযথা সম্মান করা হয়। সেখানে একজন ৩য় শ্রেণির কর্মচারী শিক্ষার্থীদের কুলাঙ্গার, হকার গালমন্দ করা যা সম্পূর্ণ অনৈতিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যিনি শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে পারেন না, শিক্ষার্থীদের কাছেও তার প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে গেছে। তাই অনতিবিলম্বে শিক্ষার্থী অবমাননার করণে তাকে ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করে ক্যাম্পাসের সম্মান বজায় রাখার জোর দাবি করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়া বলেন, আঞ্চলিকের সুযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োগ পেয়ে এখনও কর্মস্থলেই আসেননি, অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আমরা তাকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেবো না। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্জিত ঘোষণা করা হোক।

এ ব্যাপারে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. নুর আলম সিদ্দিক বলেন, সেই কর্মচারী কেন, বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক প্রত্যেক নাগরিককে সম্মান করে কথা বলা উচিত। বিশেষ করে আমাদের পরিবারের (বিশ্ববিদ্যালয়ের) যে কেউ হোন। শিক্ষার্থীদেরকে এভাবে বলা কথা সমীচীন নয়। যদি সেই কর্মচারী এসব বলে থাকেন, অবশ্যই প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ এ বিষয়ে বারবার ফোন দিলে রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য, এই কর্মচারী করোনাকালীন পিএ টু পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে যোগদান করেন।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,বেরোবি,খোরশেদ আলম
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close