খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ইউরোপিয়ান কমিশনের এমইএলবিইউ প্রকল্পের নেতৃত্বে খুবি
ইউরোপিয়ান কমিশনের ইরোসমাস প্লাস কর্মসূচির অধীনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) নেতৃত্বে এমইএলবিইউ (মোর ইন্টারপ্রিনিউরিয়াল লাইফ ইন বাংলাদেশি ইউনিভার্সিটিজ) শীর্ষক একটি প্রকল্প কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে অনলাইন কিক-অফ মিটিং-এর মাধ্যমে খুবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
প্রকল্পটির বাংলাদেশ অংশে নেতৃত্ব দিচ্ছে খুবি এবং ইউরোপের অংশে নেতৃত্ব দিচ্ছে জার্মানির লাইপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকল্পটিতে সংযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে জার্মানির লাইপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়, পোল্যান্ডের মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি অফ স্তেতিন এবং বাংলাদেশের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়.গোপালগঞ্জ, নর্দান ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি খুলনা এবং নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি। প্রকল্প ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষক অনলাইনে সংযুক্ত থেকে কার্যক্রম বাস্তবায়ন সূচনাপর্বের এ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে উদ্যোক্তা গড়ে ওঠাকে উৎসাহিত করা এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নে এ অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ উপযোগী মডিউল প্রণয়ন করা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষামূলকভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য উদ্যোক্তা সহায়ক কেন্দ্র স্থাপন করা এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে স্টার্ট-আপ উৎসাহিত করা এবং সমর্থনের জন্য একটি ক্রাউডসোর্সিং প্লাটফরম গড়ে তোলা। এছাড়া প্রকল্পের অধীনে খুলনা এবং জার্মানির লাইপজিগ শহরে দুটি সামার স্কুল আয়োজন করা যেখানে প্রত্যেকটি অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্বাচিত সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়াও এই প্রকল্পের অধীনে একটি আঞ্চলিক ইনোভেশন প্লান কম্পিটিশন আয়োজন করা হবে।
উপাচার্য তার উদ্বোধন বক্তব্যে নতুন উদ্যোক্তা উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও জোরালো ভূমিকার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করেন। উপাচার্য তার নিজের এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পে সম্ভব সকল প্রকার সহায়তা প্রদানের আশ্বাস ব্যক্ত করেন।
পিডিএসও/হেলাল